রাজনীতি করতে আসিনি, গার্ডেনরিচে পৌঁছে জানালেন নওশাদ

মঙ্গলবার সকালেই গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। গার্ডেনরিচে পৌঁছতেই একের পর এক অভিযোগ জমা হতে থাকে তাঁর সামনে। এই সব অভিযোগ তিনি শুধু শুনলেন তাই নয়, এই সব অভিযোগের পর আরও অভিযোগ তাঁকে জানানোর জন্য এলাকাবাসীদের নিজের ফোন নম্বরওদিয়ে আসতে দেখা গেল আইএসএফ-এর এই তরুণ তুর্কিকে। মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি গার্ডেনরিচের ঘটনাস্থলে পা রাখতেই কেউ প্রশ্ন করেন, ‘স্যর আমার কী হবে?’ আবার কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেনাতঁধের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার কথা জানতে পেরে। মাথা গোঁজার আশ্রয় হারানোর ভয়ে ওঁদের প্রশ্ন, ‘বাড়ি ভেঙে দিলে আমরা যাব কোথায়?’ তবে এই সব অভিযোগের কথা শুনেছেন আইএসএফ বিধায়ক।

রবিবার মধ্যরাতে হঠাৎ গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়ে বহুতল। আশপাশে থাকা ঝুপড়ির উপরে ভেঙে পড়ে সেটি। মৃত্যু হয় একাধিকের। এখনও চলেছে সেই উদ্ধারকাজ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছন নওশাদ সিদ্দিকি। আহতের পরিবারের পাশাপাশি এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে প্রথমে বাধা পেতে হয় বিধায়ককে। পরে পুলিশের তৎপরতায় ভিতরে ঢোকেন তিনি।

এ দিন, নওশাদ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরই প্রথমে জানিয়ে দেন তিনি কোনও রাজনীতি করতে আসেননি। বলেন, ‘এটা রমজান মাস। আমার যে সব ভাইরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের জন্য এসেছি। আর কোনও কারণ নেই।’

এদিকেযখন এলাকাবাসীর সঙ্গে নওশাদ কথা বলছেন সেই সময় পিছন থেকে পুলিশ তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেই সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিধায়ক তখন তাঁদের শান্ত হতে বলেন। সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জানান, ‘ওনাদেরও অবস্থা শঙ্খের করাতের মতো। কিছু নিয়ম মানতে হয়। আমরা হয়ত রাগ দেখাই। এখানে কোনও রাজনীতি নেই।’ এরপর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে একজনের ফোনে নিজের নম্বর সেভ করে দিয়ে বলেন, ‘এখানে টেক্সট মেসেজ করবেন। যা অভিযোগ সবটা জানাবেন।’ এরপর ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে এসে নওশাদ জানান, ‘শুধুমাত্র প্রোমোটারকে গ্রেফতার করিয়ে জনরোষ থামানো যায় না। এই অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে। এখানে অনেকের সঙ্গে কথা বললাম তাঁরা বাড়ির মহিলাদের অন্য জায়গায় রেখেছে। এই সকল ক্ষতিগ্রস্তদের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + 6 =