কয়েকদিন আগেই বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কপালে তাঁর ৩টে ও নাকে পড়েছে ১টি সেলাই। তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি। তারপরেও গতকাল মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই গার্ডেনরিচে এলাকা পরিদর্শনে চলে গিয়েছিলেন। এদিন চলে এসেছেন নবান্নেও। চিকিত্সকেরা তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছিল। কিন্তু তাঁর অদম্য জেদের কাছে সবাইকে হার মানতে হয়। চিকিত্সকদেরও হার মানতে হয়েছে। তাঁদের পরামর্শ শিকেয় তুলে রেখে মঙ্গল দুপুরে মমতা চলে এসেছেন নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে যে খবর আপাতত সূত্র মারফত মিলছে তাতে জানা গেছে, প্রাথমিক ধাক্কা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। এখন আগের থেকে বেশি স্থিতিশীল। সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই সেলাই কাটা হতে পারে তাঁর।
এটা বারবার দেখা গেছে যে তাঁর জেদের কাছে হার মেনেছেন সবাই। একইসাথে তাঁর সাহসকে কুর্ণিশও জানায় সবাই। তাঁর মনের জোর অনেককেই চমকে দেয়। রাজপথ থেকে তিনি লড়াই করে আন্দোলন করে উঠে এসেছেন বাংলার মসনদে। ২৬ দিনের টানা অনশন একমাত্র তিনিই করে দেখাতে পেরেছিলেন বাংলার গণতন্ত্রের স্বার্থে, মানুষের অধিকারের স্বার্থে।
ফলে তার এই নবান্নে চলে আসা নিয়ে অবাক নয় তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে সমর্থক মায় সাংসদ থেকে বিধায়ক ও মন্ত্রীরা। কেননা এটাই তো মমতা, বাংলার অগ্নিকন্যা। বারবার চোট পেয়েছেন, তারপরও বার বার প্রতিকূল পরিস্থিতির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। আঘাত নিয়েই ছুটে গিয়েছেন মানুষের কাছে। মানুষের জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে করে যাবেন বলেও তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ করে রেখেছন নিজেকে। হ্যাঁ এটাই মমতা ব্যানার্জী। সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই পরীক্ষা করার পর মাথার সেলাই কাটা হতে পারে। এদিন নবান্নে কাজ সেরে বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নেবেন তিনি। খুব শীঘ্রই বের হবেন ভোটের প্রচারে।