এবার সাংবাদিকেরাও ভোট দেবেন পোস্টাল ব্যালটে, এমনটাই জানানো হল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। পশ্চিমবঙ্গে কারা কারা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে এবার তারও একটা তালিকা প্রকাশ করা হল নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। কমিশনের তরফ থেকে প্রকাশিত এই তালিকায় রয়েছে মেট্রো রেল, রেল, রাজ্য দুগ্ধ সমবায়, স্বাস্থ্য বিভাগ, পরিবহণ, ট্রাফিক পুলিশ, সংশোধনাগার, আবগারি, ট্রেজারি, তথ্য ও জনসংযোগ দফতর, খাদ্য সরবরাহ দফতর, অ্যাম্বুল্যান্স, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স ও হোম গার্ড, ফুড সিভিল সাপ্লাই, বিদ্যুৎ, পিডব্লুডি-র কর্মীরা। এছাড়া সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকে খুব স্বাভাবিকভাবেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিকমহলে। ভোটে নির্দিষ্ট ডিউটি পড়বে সরকারি কর্মীদের। আইন শৃঙ্খলার কাজে ব্যস্ত থাকবেন পুলিশ কর্মীরাও। সেক্ষেত্রে তাঁরা যাতে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই কারণেই এই পোস্টাল ব্যালটের নিয়ম। অ্যদিকে এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের জন্যও আনা হল পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা। এতদিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জন্য এই ব্যবস্থা ছিল না। তবে এবার যখন কলকাতায় নির্বাচন ফুল বেঞ্চ আসে তখন সাংবাদিকদের তরফে এই আবেদন জানানো হয়। তারপরেই দেখা গেল সাংবাদিকদের জন্যও এই সুযোগ নিয়ে আসা হয়েছে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে যে পরিমাণ ভোট পড়ে তা শতাংশের বিচারে খুব সামান্য হলেও, কোনও কোনও সময় সেগুলিই হয়ে হয়ে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোটকর্মীরা ভোট দেবেন দু’টি জায়গায়। এক্ষেত্রে তাঁরা রিটার্নিং অফিসারের দফতরে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, নয়ত ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও ভোটদান করতে পারেন।
ইতিমধ্যেই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে মোট ৭ দফায় হতে চলেছে নির্বাচন। সেইসঙ্গে রাজ্যেও মোট ৭ দফাতে হবে ভোটগ্রহণ পর্ব। আগামী ১৯ এপ্রিল রয়েছে প্রথম দফার ভোট। দ্বিতীয় দফার ভোট রয়েছে ২৬ এপ্রিল। তৃতীয় দফার ভোট হতে চলেছে ৭ মে। ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোট। পঞ্চম দফার ভোট ২০ মে। ২৫ মে হতে চলেছে ষষ্ঠ দফার ভোট। আর ১ জুন ভোট রয়েছে সপ্তম দফার। ভোটের গণনা হতে চলেছে আগামী ৪ জুন।