রাজ্য পুলিশে বড় রদবদলের পর এবার ফের এক বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশের বেশ কয়েকটি জেলার জেলাশাসককে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চারটি জেলা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম। এদিকে আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। এ রাজ্যে ৭ দফায় হবে ভোট। তার আগেজ কমিশনের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৩১ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমান থেকে বদলি হয়ে বীরভূমের জেলাশাসক পদে এসেছিলেন পূর্ণেন্দু মাজি। কিন্তু ২ মাস যেতে না যেতেই আবারও এল বদলির নির্দেশ। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে বদলি করা হল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তনবীর আফজলকে। অন্যদিকে এতদিন ঝাড়গ্রামে ডিএম ছিলেন সুনীল আগরওয়াল। এদিকে এতদিন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। তাঁকেও সরিয়ে দিয়েছে কমিশন।
অন্যদিকে গুজরাতের দুই পুলিশ সুপারকেও সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই দুই পুলিশ সুপার ছোট উদয়পুর এবং আহমেদাবাদ গ্রামীণ জেলার দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও এদিন সরানো হয়েছে পঞ্জাবের পঠানকোট, ফাজিলকা, জলন্ধর গ্রামীণ এবং মালেরকোটলা জেলার চার পুলিশ অধিকারিককেও। এদিকে বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার ঢেনকানলের জেলাশাসক এবং দেওগড় ও কটক গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, অনতিবিলম্বে পঞ্জাবের ভাতিন্ডার এসএসপি এবং অসমের শোনিতপুরের এসপিকে অন্যত্র বদলি করতে হবে। এই দুই পুলিশ আধিকারিকের পরিবারের সঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পারিবারিক কোনও যোগাযোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে কমিশন।
উল্লেখ্য, এ ক্ষেত্রে বদলির সিদ্ধান্ত একেবারেই গাইডলাইন মেনে নিয়েছে কমিশন। ভোট ঘোষণার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বৈঠক সেরেছে ফুল বেঞ্চ। তারপরই বেশ কিছু বিধিনিষেধ তৈরি করে দিয়েছিল কমিশন। গাইডলাইনে জানানো হয়েছিল, যারা সরাসরি আইএএস হিসেবে ডিএম বা এসপি পদে এসেছেন, তাঁদেরই ভোটের কাজে অংশ নিতে দেওয়া হবে। যাঁরা ডব্লুবিসিএস থেকে পদোন্নতি হয়ে ডিএম হয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্তই কার্যকর করা হয়েছে।