গার্ডেনরিচে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময়ই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি শোভনের

গার্ডেনরিচের ঘটনা কলকাতা কর্পোরেশনের উপলব্ধি করার বিষয়। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এ বিষয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে দাবি প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। এরই পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভনকে সরব হতে দেখা গেল কলকাতার বেআইনি নির্মাণ ও তার বিরুদ্ধে পুরনিগমের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে। এই প্রসঙ্গে শোভন জানান, ‘যা আমিও সেখানে গিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আর সেটা একজন ইঞ্জিনিয়র, সাব ইঞ্জিনিয়রদের পক্ষে কার্যকর সম্ভব নয়। কোনও প্ল্যান ছাড়া, সরু গলির মধ্যে পাঁচ তলা ছ’তলা বাড়ি হয়ে যাচ্ছে, সেখানে আপনারা খুঁজছেন কাউন্সিলর জানেন কিনা, বিধায়ক জানেন কিনা, মেয়র জানেন কিনা। এগুলোর তোয়াক্কা তারা করে না। কলকাতায় এরকম বিশেষ কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে কলকাতা পৌরসভার কোনও ইঞ্জিনিয়র বা সুস্থ নাগরিক প্রতিবাদ করলে নিরাপত্তার আশঙ্কা রয়েছে।’

প্রসঙ্গত,  শনিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পরই রবিবার ভোরে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র। সেখানে এলাকার কাউন্সিলর শামসকে পাশে দাঁড় করিয়েই ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য ছিল, ‘কোন বাড়ি বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটা তো কাউন্সিলরের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তিনি জনপ্রতিনিধি। ইঞ্জিনিয়রদের দেখার কথা কোনটা বেআইনিভাবে নির্মীত হচ্ছে।’ এদিকে এর উল্টো একটা কথাই শোনা গেল প্রাক্ন মেয়রের গলায়। এই প্রসঙ্গে শোভন জানান, ‘দায়িত্ব নিতে হবে কলকাতার মেয়রকেই। কর্মীর  দোষ নিশ্চয়ই। আর তা খতিয়ে দেখতে হবে। অপরাধ থাকলে সাসপেনশন হবে। কিন্তু আমি মেয়র হিসাবে এমন কিছু মন্তব্য করব না, যাতে অন্য মানে হয়। দায়িত্ব নিতে হবে। দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়াটা প্রশাসকের কাজ নয়।’ আর কাউন্সিলর প্রসঙ্গেও তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘কাউন্সিলরের যদি বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে জানা না থাকে, তাহলে তাঁর যোগ্যতাই নেই।’

এরই পাশাপাশি প্রাক্তন মেয়র এও জানান, ঘটনার পরই দুর্ঘটনাস্থলে এসে ব্যান্ডেজ মাথায় নিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলে গিয়েছিলেন এটা বেআইনি। আর এখানেই শোভনের দাবি, ‘আমার পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী একথা বললে আমি কিন্তু বুঝে যেতাম, তিনি কী বলতে চাইছেন। বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার জন্য যা করার দরকার, তা করতে হবে।’ প্রাক্তন মেয়রের স্পষ্ট বার্তা, বেআইনি বাড়ির বিরুদ্ধে নিশ্চিতভাবে কড়া পদক্ষেপ করা যায়। বাড়িগুলো ভেঙে ফেলতে হবে, সঙ্গে যাঁরা বেআইনিভাবে বাড়ি তৈরিতে অপরাধী, তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × four =