সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এদিকে নাকি ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের কাজের প্রাপ্য টাকা এখনও পাওয়া যায়নি। এই টাকার পরিমাণও নেহাত কম নয় । প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এই ইস্যুতেই রবিবার নবান্ন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সারা বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধিরা ঠিকাদারদের এক সভার আয়োজন করেন। উদ্যোক্তা পিএইচই কনস্ট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মানস চট্টোপাধ্যায় এদিনের এই সভায় জানান, ‘ওপরতলা থেকে বলা হচ্ছে ফান্ড নেই। কিন্তু তা বললে আমাদের তো চলবে না। কোটি কোটি টাকা বাকি রয়েছে। আমাদেরও বাড়ি ঘর পরিবার রয়েছে। এটাই আমাদের রুজি রুটি। টাকা না পেলে আমরা পথে বসব।‘ এদিকে এরই পাশাপাশি পিএইচই কনস্ট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অপর এক যুগ্ম সম্পাদক পরেশ কর্মকার এও জানান , ‘আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে লাভ হচ্ছে না। এতদিন অপেক্ষার পর আমরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছি। একমাত্র তিনি এই বিষয়ে কিছু করলে তবেই আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকা পেতে পারি।’
এদিকে সূত্রে খবর, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন জায়গায় এই ঠিকাদারদের ডাক পড়ে জলের লাইন, অস্থায়ী টয়লেট করে দেওয়ার জন্য। বিশ্বাস ও সম্পর্কের খাতিরে সেই সমস্ত কাজ করে দেওয়া হয় বলে জানান তাঁরা। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের অভিজ্ঞতার পর এবার আদৌ তাঁরা আর ভোটের কাজে এগোবেন কিনা তা নিয়ে দোটানায় পড়েছেন। পাশাপাশি এও সংগঠনের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েতের নির্বাচনের আগে মুখের কথায় তড়িঘড়ি কাজ করবেন না ঠিকাদাররা। কারণ, মুখের কথায় বিশ্বাস করে কোনও চুক্তি ছাড়া জরুরি ভিত্তিতে কাজ করলে টাকা মার যায় বলেই ধারনা তাঁদের। আর এই ধরনের ঘটনা সব থেকে বেশি ঘটে কোনও ভোটের আগে। কারণ ভোটের আগেই জল রাস্তা ইত্যাদি কাজ তড়িঘড়ি করানোর প্রবণতা দেখা যায়।