আইপিএস নিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ খারিজ রাজ্য পুলিশের

আইপিএস নিয়ে শাসকদলের ওপর চাপ তৈরি করলেন বিধান সভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু দাবি করেন আইপিএস ক্যাডারদের সুনির্দিষ্ট পদে আছেন নন আইপিএস অফিসার। তাঁদের সরাতে হবে। এর পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ২০২৪ সালের ২১ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, পুলিশ সুপার এবং স্পেশাল পুলিশ সুপার পদে থাকা সমস্ত নন-ক্যাডার অফিসারকে অবিলম্বে বদলি করে দিতে হবে। এই বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট পাঠাতে হবে। এরপরই শুভেন্দু কিছু আধিকারিকদের তথ্য দিয়ে দাবি করেছিলেন, এঁরা আদৌ আইপিএস নন। এরই রেশ ধরে শুভেন্দু দাবি করেন, সিআইডির ডিআইজি সোমা দাস মিত্র, কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শুভঙ্কর সিনহা সরকার, দুর্নীতি-বিরোধী শাখার ডিআইজি অঞ্জন চক্রবর্তী, মালদা রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইজিপি) দীপনারায়ণ গোস্বামী, সিআইডির ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল (ডিআই) শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী, গোয়েন্দা বিভাগের ডিআইজি রমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক জেলার পুলিশ সুপার এবং ডিআইজি পদের অফিসারদের নাম উল্লেখ করেন তিনি। একইসঙ্গে দাবি করেন, এই সমস্ত পদে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের নিয়মমাফিক নিযুক্ত করা হয়নি।

প্রত্যুত্তরে রাজ্য পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ম মেনেই এই সমস্ত পদে নিয়োগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে একটি বার্তা দেওয়া হয়, শুভেন্দু অধিকারীর তরফে যে দাবি করা হয়েছে, তা ‘মিথ্যা’ এবং ‘বিভ্রান্তিকর’। পুলিশের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ম মেনেই এই নিযুক্তিকরণ করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে কোনও বেনিয়ম করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ভোটের আগে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবারও হাওড়া জেলার একটি নির্বাচনী সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি আর্জি জানতে চান, শুধুমাত্র ভোটের সময় নয়, ভোটের আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গে ভিন রাজ্য থেকে পুলিশ আনা হোক। রাজ্য পুলিশ ‘দলদাস’ পরিণত হয়েছে বলে দাবি করে শুভেন্দু জানান, ভোটের আগে থেকেই ভিন রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়ে এসে এই রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 14 =