তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার নির্দল কাঁটায় বিদ্ধ বঙ্গ বিজেপিও। এরপরই এই অস্বস্তিকর পরিবেশ সামাল দিতে দ্রুত দলের এই ৩ নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে।
ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা। এই ঘটনা সামনে আসার পরই বঙ্গ বিজেপির হাইকমান্ডের নির্দেশ দুই নম্বর ব্লকের দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিপ্লব মাল চন্দ্রকোনার বান্দিপুর – ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথ সভাপতি পঙ্কজ ঘোড়ুই, বান্দিপুর – ১ অঞ্চলের কিষাণ মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বিভাস চক্রবর্তী এবং বান্দিপুর ১ নং অঞ্চলের বুথ সভাপতি মনসা দলুই সহ মোট ৩ জন বিজেপি নেতাকে বহিষ্কার করেন। সূত্রে খবর, এই তিন নেতাদের মধ্যে পঙ্কজ ঘোড়ুই ও মনসা দোলুই নিজেরাই নির্দল প্রার্থী হন। অপর বহিষ্কৃত নেতা বিভাস চক্রবর্তী তার স্ত্রী কাঞ্জন ওরফে রিনা চক্রবর্তীকে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। আর তা করেছেন দলের বিরুদ্ধে গিয়ে, এমনই অভিযোগ।
এই বিষয়ে বহিষ্কৃত এক বিজেপি নেতা বিভাস চক্রবর্তী জানান, ‘আমি আমার স্ত্রীকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছি।‘ বহিষ্কার প্রসঙ্গে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ এই বিজেপি নেতা জানান, ‘দলে আমাদের কোনও গুরুত্ব ছিল না। দল আমাদের গুরুত্ব দেয়নি তাই আমিও দলকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। অনেক দিনের পুরনো নেতৃত্ব হওয়া সত্বেও মণ্ডল সভাপতি আমাদের দলে কোনও মর্যাদা দেননি। তিনি খালি স্বজনপোষণ করছেন।’
এদিকে চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লকের দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিপ্লব মাল জানান, ‘এটা দল বিরোধী কাজ। আর বিজেপি একটি সাংগঠনিক বড় দল। এখানে কোনও ব্যক্তির ইচ্ছায় কিছু হয়না। জেলা স্তর থেকে যে প্রার্থী তালিকা দেওয়া হয়েছে, আমাকে তাতেই অনুমোদন দিতে হয়েছে। একথা আমি সবার সামনে খোলাখুলি বলেছিলাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই তিন বিজেপি নেতা যে দল বিরোধী কাজ করেছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাই দলীয় অনুশাসন নেমে ওই তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’