রাজ্যের ঋণ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি  শুভেন্দুর, দিলেন তথ্যও

লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বিস্ফোরক বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তিনি বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ আনেন। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্যগুলির ঋণ নেওয়ার সীমা নির্ধারিত হয় রাজ্যের আভ্যন্তরীণ উৎপাদন অথবা গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট অর্থাৎ জিএসডিপি-র মাধ্যমে। এই সুযোগকে অসৎ ভাবে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মতো ঋণের ওপর নির্ভরশীল কিছু রাজ্য জিএসডিপি-র পরিসংখ্যান ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে বাজার থেকে বেশি পরিমাণ ঋণ নিয়েই চলেছে আর ঋণের পাঁকে আস্তে আস্তে ডুবে যাচ্ছে।

এরই পাশাপাশি শুভেন্দু এও দাবি করেন, ভারত সরকারের পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা রূপায়ন মন্ত্রকের সম্প্রতি রাজ্যওয়াড়ি জিএসডিপি-র পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার পর পরিসংখ্যান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই কারসাজি ধরা পরে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু এও বলেন, ‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেটে দাবি করা হয়েছিল, যখন কোভিডের কারণে সারা দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার কমে গিয়ে ঋণাত্মক হয়ে গিয়েছিল, সেখানেই নাকি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি ১.২০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের গত ১৫ মার্চ ভারত সরকারের পরিসংখ্যান মন্ত্রকের প্রকাশিত রাজ্যওয়াড়ি জিএসডিপি-র পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মহামারির বছরে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি আসলে মাইনাস ৭.৫৮ শতাংশ হারে ভয়াবহ সঙ্কোচনের মুখোমুখি হয়েছিল।’

এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু এও জানান, ‘আদতে পরিসংখ্যান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই কারসাজি নতুন কিছু নয়। শুধুমাত্র ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরেই এমন দাবি করা হয়েছে তাও নয়। করোনা মহামারির আগের বছরে, অর্থাৎ ২০১৯-২০ সালের বাজেট নথিতে দাবি করা হয়েছিল যে রাজ্যের জিএসডিপি ১০.৪২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, অথচ ভারত সরকার তথ্য প্রকাশ করেছে যে বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩.১০ শতাংশ। অর্থাৎ, রাজ্যের জিএসডিপি বাড়িয়ে দেখানো এবং সেই বর্ধিত জিএসডিপি-র ভিত্তিতে বাজার থেকে ঋণ নিয়ে চলার এই ভয়ঙ্কর প্রবণতা পশ্চিমবঙ্গকে ক্রমশ ঋণের পাঁকে ডুবিয়ে দিচ্ছে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + six =