২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও বাংলায় আসবেন স্টার ক্যাম্পেনাররা। তা রাজ্য বিজেপিকে জানিয়ে দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এপ্রিলের ৪ তারিখ থেকে ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের ভোট-প্রচার শুরু হবে বাংলায়। এদিকে কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দু’দফার লোকসভা ভোটে ৪০ জন ‘স্টার ক্যাম্পেনারে’র তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। সেখানে কেন্দ্রের নেতাদের মধ্যে মোদী, শাহ ছাড়াও জগৎপ্রকাশ নাড্ডা, যোগী আদিত্যনাথ, রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানিদের নাম আছে। সূত্রের খবর, এপ্রিলের শুরুর দিকেই উত্তরবঙ্গে ভোট প্রচারে আসবেন শাহ। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বালুরঘাট কেন্দ্র ছাড়াও কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিকের হয়ে প্রচারে যাওয়ার কথা তাঁরা। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নিশীথ আবার শাহের ডেপুটি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন দফার ভোটের আগে বাংলায় একাধিক জনসভা করার আশ্বাস সুকান্তদের দিলেও তাঁর দফতর এখনও সভার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে জানায়নি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। তবে সূত্রের খবর, বসিরহাট, কৃষ্ণনগর, তমলুক এবং কলকাতায় মোদি সভা করবেন বলে দিল্লি থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বঙ্গ-বিজেপিকে।
পদ্ম-শিবিরের এক বর্ষীয়ান নেতার কথায়, ‘গোটা দেশেই ভোট প্রচারে ছুটতে হবে দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতাদের। তার মধ্যেও বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। ২০২১ বিধানসভা ভোটের মতো ব্যাপকভাবে না হলেও সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই বাংলায় প্রচারের ঝড় তুলে দেবেন পার্টির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা। এপ্রিলের ৩-৪ তারিখের মধ্যেই অন্যান্য রাজ্য থেকে বেশ কয়েকজন দক্ষ সংগঠককে নাড্ডাজি বাংলায় পাঠাবেন। তাঁদের কাজ হবে ভোটের আগে বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সাংগঠনিক নেতাদের লাস্ট মিনিট সাজেশন দেওয়া।’
এদিকে ভোটের মুখে ভিন রাজ্যের আবাঙালি কেন্দ্রীয় নেতাদের এ রাজ্যে বেশি আনাগোনা চাইছেন না বঙ্গ-বিজেপির একাংশ। তাদের যুক্তি, ভিন রাজ্যের নেতারা যত বেশি আসবেন, তত তৃণমূলের প্রচার করতে সুবিধা হবে যে, বিজেপি বাঙালির পার্টি নয়। সুতরাং ভিন রাজ্যের মেজ-সেজ নেতাদের ভোট-প্রচারে এড়িয়ে চলার পক্ষেই সওয়াল করছেন বঙ্গ-বিজেপির অনেকে। এই প্রসঙ্গে সামনে আনা হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রকে। কারণ, সেখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে কীর্তি আজ়াদকে। আর এখানেই তাঁকে বহিরাগত আখ্যা দিয়ে প্রচার করছে বিজেপি। এবার সেখানে দিলীপ ঘোষের সমর্থনে ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতারা ঘাঁটি গাড়লে বহিরাগত অস্ত্রটাই ভোঁতা হয়ে যাবে। অন্যদিকে আবার মোদি-শাহের মতো শীর্ষ নেতাদের ক্ষেত্রে তৃণমূলের বহিরাগত তত্ত্ব খাটবে না বলেই রাজ্যের বিজেপি প্রার্থীদের বিশ্বাস।