প্রাথমিকে কোন জেলায় কত পদ ফাঁকা তার রিপোর্ট চাইল আদালত

একের পর এক মামলার জেরে প্রকৃত যোগ্যদের চাকরি না হওয়ার পিছনে পর্ষদের অসহযোগিতায় রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। পর্ষদ এই নিয়োগ নিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করুক, এমনটাই জানাচ্ছে আদালত। কারণ, পর্ষদের অসহযোগিতাতেই নতুন নিয়োগ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে মনে করে হাইকোর্ট।এই প্রসঙ্গেই প্রাথমিকে কোন জেলায় কতগুলি পদ ফাঁকা রয়েছে তা বিস্তারিত জানিয়ে এক রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্যকে। শুধু তাই নয়, এদিনের এই ঘটনাতেই বুধবার বিরক্তি প্রকাশও করতে দেখা যায় আদালতকে।এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পষ্ট জানিয়েছেন, নিয়োগ নিয়ে সদর্থক ভূমিকা নিতে চায় রাজ্য সরকার।চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বর্ধমানে একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। কিন্তু, রাম-বামেরা আদালতে কেস করে আটকে রেখেছে। ৬০ থেকে ৭০ হাজার চাকরিপ্রার্থী স্কুলে চাকরি পেত। কিন্তু, আদালতের জটিলতায় তা আটকে। সমস্যা মিটিয়ে শূণ্যস্থান পূরণ করতে হবে। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ওরা সরকারের হাত পা বেঁধে রেখেছে। যাতে শূন্যস্থান পূরণের ব্যবস্থা করা যায় সেই জন্য আমি আবেদন করব।’ অর্থাৎ রাজ্য সরকার যে নিয়োগের জন্য ইতিবাচক মনোভাব রাখছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে আদালত সূত্রে খবর, বুধবার ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উর্দুর প্রশ্ন ভুলের মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। এই মামলার শুনানি চলার সময় বিচারপতি মান্থা স্পষ্ট নির্দেশ দেন, আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারকে একটি রিপোর্ট দিতে হবে। সেখানে জানাতে হবে প্রাথমিকের কোন জেলায় কত ফাঁকা পদ রয়েছে। একইসঙ্গে জানাতে হবে, রাজ্যে বর্তমান শিক্ষকের সংখ্যা কত। এরই পাশাপাশি আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, কোনও সুপার নিউমেরারি পোস্টের হিসাব এই তালিকায় আনা যাবে না। বোর্ডের ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আদালত তার পরবর্তী নির্দেশ দেবে বলেও জানা গিয়েছে।

এদিকে এদিন প্রাথমিকের ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উর্দুর প্রশ্ন ভুলের একটি মামলার শুনানি করতে গিয়ে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, দিনের পর দিন মামলা চলছে। আর এই মামলার মধ্যে প্রকৃত যোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছেন না। তাঁদের নিয়োগ আটকে রাখা হচ্ছে। চাকরিতে প্রকৃত যোগ্যরা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন এবং এই মামলার গেরোয় তাঁদের বয়স চলে যাচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত। এই প্রসঙ্গে আদালতের স্পষ্ট অবস্থান, মামলার জন্য যে সমস্ত যোগ্য প্রার্থীর নিয়োগ আটকে আছে তাদের নিয়োগ কোনওভাবে আটকে রাখা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + four =