ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি এই দুমাস ব্যাপী ‘চল পালটাই’ মিছিল-মিটিংয়ের পাশাপাশি ‘পাড়া বৈঠক’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য মহিলা সভানেত্রী তথা অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই কর্মসূচিতেই মিলল ব্যাপক সাফল্য। ভোটের মুখে তৃণমূলের মহিলা সদস্যের সংখ্যা বেড়ে হল প্রায় ৫ লক্ষ। অর্থাৎ ৪৫ দিনের ‘পাড়া বৈঠক’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হলেন লক্ষাধিক মহিলা সদস্য। নয়া এই সদস্যরাই লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘরে ঘরে গিয়ে তৃণমূলের নানা ধরনের জলকল্যাণমূলককর্মসূচি ও মোদির ‘ভাঁওতা’ বিরুদ্ধে প্রচার করবেন।
এই প্রসঙ্গে তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে শনিবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ‘রাজ্যে ৮০ হাজার বুথ রয়েছে। প্রত্যেক বুথে গড়ে ৫ জন করে মহিলা সদস্য ছিলই। সেই হিসেব মতো প্রায় ৪ লক্ষের বেশি মহিলা তৃণমূলের সঙ্গে আগে থেকেই যুক্ত ছিল। নতুন করে আরও ১ লক্ষ মহিলা যুক্ত হলেন। সবমিলিয়ে দলের মহিলা সদস্য সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়াল।” তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে এই মহিলারাই বাড়ি-বাড়ি যাবে প্রচার করতে। মোদির ‘ভাঁওতা’, ‘জুমলা’র বিরুদ্ধে এই মহিলারাই মানুষকে সচেতন করবেন।
প্রসঙ্গত, চন্দ্রিমা নিজে কোচবিহার থেকে শুরু করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জঙ্গলমহল এবং রাঙামাটির বিভিন্ন জেলায় ‘পাড়া বৈঠক’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। আগে থেকেই তৃণমূলের কয়েক লক্ষ মহিলা সদস্য ছিল। এই পাড়া বৈঠকে বুথ পিছু একজন, কোথাও কোথাও ২ থেকে ৩ জন নতুন মহিলা তৃণমূলের সংগঠনে যুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেন চন্দ্রিমা। এই প্রসঙ্গে চন্দ্রিমার সংযোজন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারী ক্ষমতায়নে সমসবময় জোর দেন। সেই কারণে কন্যাশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নানা প্রকল্প চালু করেছেন। চলতি বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরিমাণও বাড়িয়েছেন। তার সুফল পেয়েছেন মহিলারা। সেই কারণেই তৃণমূলের উপর আস্থা বেড়েছে বঙ্গ নারীদের।