ভূপতিনগর বিস্ফোরণ ঘটনায় তিন তৃণমূল নেতাকে নোটিস এনআইএ-র

ভূপতিনগর বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানবকুমার পড়েয়া এবং সুবীর মাইতি ও নাবো কুমার পাণ্ডাকে ফের নোটিস দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এই নিয়ে তৃতীয় নোটিস দেওয়া হল।এদিকে শনিবারই এই তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি চালান এনআইএ আধিকারিকরা। এবার সোমবার নিউটউনে এনআইএ দফতরে হাজিরার দিতে বলা হয়েছে এই তিনজনকে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ২ ডিসেম্বর রাতে এগারোটা নাগাদ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। তাতে  মৃত্যু হয়েছিল  ওই বাড়ির মালিক রামকুমার, তাঁর ভাই দেবকুমার ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। মৃত্যু হয়েছিল আরও একাধিকজনের। দেহাংশ গিয়ে পড়ে বিস্ফোরণস্থলের কয়েক ফুট দূরের পুকুরেও। এই মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। তারপর আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তে নামে এনআইএ। সে সময়েই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে  বলাই ও মনোব্রত নামে দুই তৃণমূল নেতাকে নোটিস পাঠানো হয় এনআইএ-র তরফ থেকে। এর পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের একাধিকবার তলবও করা হয়েছিল। কিন্তু একবারও তাঁরা হাজিরা দেননি। শনিবার বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে ভূপতিনগরে যান এনআইএ আধিকারিকরা। তখন তাঁদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলাই ও মনোব্রতকে।

এবার আরও তিন জনকে নোটিস পাঠিয়েছে এনআইএ। তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য-কেন্দ্রের সংঘাত তুঙ্গে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী শনিবারই হেমতাবাদের সভা থেকে বলেন, ‘হামলাটা কে করেছে? হামলাটা মেয়েরা করেনি। হামলাটা করেছে এনআইএ। গদ্দারটা জানে হারবে, তাই লোকের বাড়ি লোক পাঠাচ্ছে। তুমি লোকের বাড়িতে ঢুকে যাবে রাতে, তৃণমূলের সব বুথ সভাপতিকে গ্রেফতার করতে হবে, তৃণমূল এমএলএ-কে গ্রেফতার করতে হবে।’ পরিকল্পিতভাবে ভোটের আগে এই ধরনের অভিযান চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, রবিবারই ভূপতিনগরে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − six =