নির্বাচনে কমিশনে বিজেপির প্রতিনিধি দল। এরপরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, নির্বাচন কমিশনে তিনি ঠিক কী কী অভিযোগ জানিয়েছেন সে ব্যাপারে। এদিন, শুভেন্দু জানান, ২০২১-এর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যেমন নালিশ ঠুকেছেন, তেমনই ভোটের সময় এ রাজ্যে কতখানি হিংসা হয় সেই বিষয়কেও কমিশনকে অবগত করেছেন।
এরই পাশাপাশি সোমবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দু জানান, ‘আমরা ২১-এর বিধানসভা ভোটের পরবর্তী কথা জানিয়েছি। ভোটের পর ১২ হাজার মামলা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। ৬১ এফআইআর সিবিআই করেছে। আমরা বিভিন্ন তথ্য দেখিয়েছি।’ এরই পাশাপাশি বিরোধী দলনেতার দাবি, আমরা বলেছি আজ পর্যন্ত ১৫টা রাজ্যে ভোট হয়েছে। কোথাও ভোটের দিন, ভোট গণনার দিন বা ভোটের পর হিংসার ঘটনা ঘটে না। একমাত্র বাংলা বাদে। একইসঙ্গে ভোটে হিংসার ঘটনার বিভিন্ন নথিও এদিন তিনি তুলে ধরেন কমিশনে। কমিশনে তিনি ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের রেফারেন্সও দিয়েছেন। কীভাবে ৮২০ কোম্পানি বাহিনী এসেছিল, ৫৫ জন মারা গিয়েছেন, প্রার্থী খুন হয়েছে, গণনা সেন্টারে কাউন্টিং এজেন্টরা ঢুকতে পারেনি, প্রায় এক কোটি ভোটার ভোট দিতে পারেনি-এসব তথ্যই সোমবার তিনি জানিয়েছেন কমিশনে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু এও জানান, বাংলার মানুষ শান্তি চায়। সব রাজনৈতিক দল চায় যাতে শান্তিপূর্ণভাবে মিটিং-মিছিল-প্রচার করা যায়।
এখানেই শেষ নয়, এদিন শুভেন্দু এও বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার বলেছি তৃণমূল সন্দেশখালির ঘটনার পর বর্জিত হয়েছে।” তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাগুলি এখন নাকি কার্যত ফাঁকা। এরই রেশ টেনে শুভেন্দু এও জানান, ‘নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হওয়ার জন্য এখন পাট্টা দেওয়া যাচ্ছে না। কন্যাশ্রীর মেয়েদের আনা যাচ্ছে না, সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া যাচ্ছে। না তাই মিটিংগুলোতে জণগনের দেখা নেই।’