লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে দরকার পড়ে হেলিকপ্টারের। কারণ, রোজ একাধিক জনসভা কিংবা রোড শোয়ে অংশ নিতে হয় রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েটদের। আর তখনই মূলত সময় বাঁচাতেই বিভিন্ন দল থেকে ভাড়া করা হয় হেলিকপ্টার। তবে কমিশনের কর্তারা জানাচ্ছেন, নিয়ম অনুযায়ী ভোটের প্রচারের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে গেলে কমিশনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কে কোথায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে, তার সমস্ত হিসাব থাকে কমিশনের কাছে। কোথাও হেলিপ্যাড বানাতে গেলেও তার অনুমতিও নিতে হয়।
এদিকে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বাংলায় হেলিকপ্টার ব্যবহারে বিজেপি’কে বেশ কয়েক কদম পিছনে ফেলে দিল তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট বলছে, ভোটের প্রচারের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এই সংখ্যাটা মোট ১২৭ যার মধ্যে ১১৬টি তৃণমূলের।বিজেপি’র তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৭টি আবেদন জমা পড়েছে। অন্যান্য দল থেকে এসেছে চারটি আবেদনপত্র। ভোটের শুরুতেই বাংলায় হেলিকপ্টার ব্যবহারের এই প্রবণতা দেখে কিছুটা হলেও আশ্চর্য হচ্ছেন কমিশনের আধিকারিকরা। তাঁদের ধারণা, আগামী দিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
আগামী ১৯ এপ্রিল বাংলায় শুরু হচ্ছে প্রথম দফার ভোট। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা কেন্দ্র কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভোটগ্রহণ রয়েছে। উত্তরবঙ্গ দিয়ে লোকসভা ভোট শুরু হলেও গোটা রাজ্যেই এখন প্রচার তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূল-বিজেপি সহ সমস্ত দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব ছুটে বেড়াচ্ছেন রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।
তবে ভোটের সময়ে হেলিকপ্টারের গতিবিধির উপর বাড়তি নজর রাখছে কমিশন। ভোটের সময়ে হেলিকপ্টারে করে নগদ টাকা, মাদক কিংবা অন্য কোনও নিষিদ্ধ বস্তু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কি না, তার উপর নজর রাখতে আবগারি, শুল্ক এবং ইনকাম ট্যাক্স বিভাগকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কোনও বিমানবন্দরে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করলে সেখানেও নজর রাখা হবে। প্রয়োজনে হেলিকপ্টারেও তল্লাশি চালানো হবে।