মন্ত্রিত্বের অফার ছিল, দাবি নওশাদের

লোকসভা নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতি। আর সেই সময়ই এক বিস্ফোরক দাবি আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি দাবি করেন, মন্ত্রী হওয়ার ‘অফার’ ছিল তাঁর কাছে। এদিকে সাম্প্রতিক অতীতে আইএসএফ তথা নওশাদ সিদ্দিকির রাজনৈতিক গতিবিধি নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। এমনকী এমনও গুঞ্জন উঠেছে, তিনি নাকি তৃণমূলের থেকে আর্থিক সাহায্যও নিয়েছেন। এই বিষয়ে আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বক্তব্য, তিনি এখনও পর্যন্ত এমন তিনটি গুজবের কথা শুনতে পেয়েছেন। এক জায়গায় বলা হয়েছে, তিনি ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন। অপর একটি জায়গায় বলা হচ্ছে, ৩২ কোটি টাকা। তো কোথাও আবার বলা হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। সেই প্রসঙ্গ টেনেই আইএসএফ চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যা, ‘যদি টাকা তোলাই আমার স্বপ্ন থাকত, আমার কাছে তো মন্ত্রিত্বের অফার ছিল। কোনও একটা দফতরে চলে যেতাম। সহজেই আমার সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর পাওয়ার সুযোগ ছিল।’

উল্লেখ্য, তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একটি বড় হাতিয়ার হল বিভিন্ন প্রকল্পের থেকে কাটমানির অভিযোগ। এখানেও মূলত সেই দিকেই ইঙ্গিত করে নওশাদের ব্যাখ্যা, টাকা কামানোর ইচ্ছা থাকলে, তিনি মন্ত্রী হয়ে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়েই ৩০০ কোটি তুলে নিতে পারতেন। সেই প্রসঙ্গে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের উদাহরণ টেনেই নওশাদ বললেন, ‘সেখানে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। গত বারে দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। এবার আমি যদি দায়িত্ব নিয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করতাম, তাহলে ১০ শতাংশ কাটমানি হিসেবে থাকলে ৩০০ কোটি টাকা পকেটে চলে আসত, কেউ ধরতেই পারত না। টাকা কামানোর ইচ্ছা থাকলে, তাহলে এরকমভাবে করা যেত।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + eleven =