পারফর্ম্যান্সের জন্য নয়, সরফরাজ নাকি বাদ পড়লেন  শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে!

ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা পারফর্ম্যান্স, দুর্দান্ত গড়, অজস্র রান করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে জায়গা হয়নি সরফরাজ খানের। বরং আইপিএলে ভালো পারফর্ম্যান্স দেখানো যশস্বী জয়সওয়াল এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড় দলে সুযোগ পেয়েছেন। এর জন্য নানা মহলে চলছে জল্পনা। আদতে এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। সূত্র বলছে, ক্রিকেটীয় কারণে নয়, সরফরাজকে দলে নেওয়া হয়নি শৃঙ্খলাজনিত কারণে এবং কিছুটা ফিটনেসের কারণে। শৃঙ্খলা ইস্যুতে এই প্রথম কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের উপরে কোপ পড়ল এমন কিন্তু নয়। এর আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা।

বিনোদ কাম্বলি: বিস্ফোরক স্টাইলে আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন কাম্বলি। স্কুল-ক্রিকেটের সময় থেকে শচিনের সঙ্গেই উচ্চারিত হত তাঁর নাম। কিন্তু অভব্য আচরণের জেরে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়। প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া জানিয়েছিলেন, কাম্বলির রাত ২টো-৩টেয় হোটেলে ফেরা রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অত রাতে অন্যান্য প্লেয়ারদের ঘরের দরজায় ঠকঠক করে জাগিয়ে তুলতেন, মদ্যপান করে চিৎকার করতেন। একবার লখনউয়ে ওয়ান ডে ম্যাচের আগের দিন রাতে হোটেলের ঘরে ভাবী স্ত্রীর সঙ্গে ভয়ানক ঝামেলা করেন। এমনকী অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে গালাগাল করার অভিযোগও আছে কাম্বলির বিরুদ্ধে। বাদ পড়ার পর বেশ কয়েকবার ফিরে এলেও দলে আর জায়গা পাকা করতে পারেননি তিনি। ২০০০ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন।

লালা অমরনাথ: ১৯৩৬ সালের ইংল্যান্ড সফর থেকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অমরনাথকে কারণে দেশে ফেরত পাঠান তৎকালীন অধিনায়ক ভিজি বা ভিজিয়ানগরের মহারাজা। তবে বেশিরভাগ রিপোর্টে বলা হয়েছিল, নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন অমরনাথ। এমনও বলা হয়, প্রতিভা নয় ব্রিটিশ শাসিত ভারতে খেতাবের জোরে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন মহারাজা। প্যাড পরতে বলে ইচ্ছে করে বসিয়ে রাখা হয়েছিল, যার ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে দু’ চার কথা বলে ফেলেন অমরনাথ। এরপরেই তৎকালীন টিম ম্যানেজার মেজর জ্যাক ব্রিটেন-জোনস তাঁকে দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেন।

হার্দিক পান্ডিয়া ও কে এল রাহুল: এক টিভি শোয়ে মহিলাদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয় এই দুই ক্রিকেটারকে। জনপ্রিয় টক শো ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে পান্ডিয়া গর্বের সঙ্গে জানিয়েছিলেন একাধিক নারীসঙ্গের কথা। এ নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গেও খোলাখুলি কথা বলেন বলেও দাবি করেন তিনি। রাহুল  এত কথা না বললেও পান্ডিয়াকে সমর্থন করতে দেখা যায়। সে সময় ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ওই মন্তব্যের নিন্দা করেন। ঘটনার জল গড়াতে দুজনেই ক্ষমা চেয়ে নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − ten =