দিঘা থেকে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই পাণ্ডা ধরা পড়ার ঘটনায় তরজা শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী দুই শিবিরের মধ্যে। বিোরধী শিবির এই ঘটনাকে সামনে রেখে রীতিমতো তোপ দেগেছে বাংলার শাসকদলকে। শুক্রবার এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এগিয়ে বাংলা মডেল এটা। আগে আমরা শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতাম, পরে শ্রমিক সাপ্লাই করতাম, এখন জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড সাপ্লাই করি। এবার বোঝা যায় যে এনআইএ-র উপরে কেন হামলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী চান, গোটা দেশে বোমা বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড সরবরাহ হোক বাংলা থেৃকে। আমরা লড়াই করে যাব। বাঙালিকেও ভাবতে হবে, তারা ভবিষ্যতে কী চান।’ একইসঙ্গে এও জানান, ‘বাংলা এখন জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গ। বাংলাদেশের সন্ত্রাসকাজে যুক্তরাও বাংলায় এসে লুকিয়ে থাকছে। এখানে তৃণমূল নেতাদের মদতে মিনি পাকিস্তান বানিয়ে রাখা হয়েছে।’ একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ বাংলা আন্তর্জাতিক অপরাধী জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল, এটা বারেবারে প্রমাণ হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সেফ জোন। পুলিশকে তো সরকার পার্টির ক্যাডারে পরিণত করেছে। পুলিশকে নিজের কাজ করতে না দেওয়ায় বাংলার এই অবস্থা।’
এরই পাশাপাশি এই ঘটনায় সরকারকে বিদ্ধ করেছেন বামেরাও। সিপিআইএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘খুব ভাল খবর। এজেন্সির জন্য এটা যেমন কৃতিত্বের, তেমনই বাংলার প্রশাসনের জন্য লজ্জার। বাংলার পুলিশ প্রশাসন কাজ করে না। তাদের মৌলিক দায়িত্ব মমতা ও তাঁর পরিবারকে রক্ষা করা। এই জন্য বাংলাকে অপরাধীরা স্বর্গরাজ্য বলে মনে করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময়ে মাওবাদীদের নিয়ে বামফ্রন্টে বিরুদ্ধে লড়েছিল, সন্ত্রাসবাদীরাও তাই জানে মাওবাদীদের খুব কাছের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এদিকে এর পাল্টা দিতে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, শেষমেশ এনআইএ- কেও মানতে হয়েছে রাজ্য পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার কথা। এরই পাশাপাশি দিঘা থেকে গ্রেফতার হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারকেও নাম না করে তোপ দাগেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে লেখেন, ‘এনআইএ- কেও মানতে হল রাজ্য পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার কথা। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে জড়িত বলে যে গ্রেফতার তারা করেছে, তাতে তাদের প্রেস রিলিজেও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতার উল্লেখ রয়েছে।’ এরই পাশাপাশি অধিকারী পরিবারের নাম না করে কুণাল এ প্রশ্নও তোলেন, ‘আর কোথা থেকে ধরেছে? কাঁথি। সবাই জানে সেখানে কোন্ পরিবার দুষ্কৃতীদের আনে, আশ্রয় দেয়। এসবে তাদের ভূমিকার তদন্ত হোক। বাংলার পুলিশ দেশবিরোধী অশুভ শক্তিকে দমন করতে অবিচল এবং অন্য এজেন্সিকে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত আবার প্রমাণিত। তাছাড়া মনে রাখুন, এই মামলায় একজন বিজেপি কর্মীও গ্রেফতার হয়েছিল।’