সাহিত্য নিয়ে পড়তে না দেওযায় আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী

সাহিত্য নিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন উইমেনস পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া নন্দিতা লাহা। তবে বাড়ি থেকে মেনে নেওয়া হয়নি তাঁর এই আব্দার। আর তারই জেরে শেষ পর্যন্ত একেবারে আত্মহননের পথই বেছে নিতে দেখা গেল বছর ১৮-র  নন্দিতাকে। সূত্রে খবর, শুক্রবার আলিপুর কলেজের মহিলা হস্টেল থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার হঠাৎই নিজের ঘরে গলায় চাদর জড়িয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের ধারনা, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরে জাজেস কোর্ট রোডের মহিলা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে থাকতেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নন্দিতা লাহা। ঘটনার দিন নন্দিতা দীর্ঘক্ষণ তাঁর ঘরের বাইরে না বের হওয়ায় সন্দেহ হয় হস্টেল কর্তৃপক্ষের। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। আলিপুর থানার পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে, গলায় চাদর জড়িয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশের ধারনা, শুক্রবারে যখন তাঁর ঘরের বাকি সহপাঠীরা কেউ সেখানে ছিলেন না সেই সুযোগেই এমন এখ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন নন্দিতা। এর পাশাপাশি নন্দিতার ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। যেখানে লেখা ছিল, ওই সুইসাইড নোটে লেখা আছে, ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করলেও তাতে তাঁর রুচি ছিল না। রুচি ছিল সাহিত্যে। কবিতা লিখতে ভালোবাসত। সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী ছিলেন ওই ছাত্রী। তবে পরিবারের তরফে নন্দিতাকে বলা হয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়েই কেরিয়ার তৈরি করার জন্য। কিন্তু, বিষয়ের প্রতি ভালোবাসা না থাকায় এই নিয়ে ক্রমশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে ওই ছাত্রী আরও লিখেছে, ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে এগোনোর ইচ্ছে তার আর নেই। পরিবারের যে চাপ তা আর মেনে নেওয়ার মতো মানসিক অবস্থাও তার নেই। তাই চরম পদক্ষেপ।তিনি সাহিত্য নিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন। এই সুইসাইড নোট হাতে পাওয়ার পুলিশের অনুমান হতাশার শিকার হয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন নন্দিতা। পরিবারকে খবর দিয়ে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =