পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে আপাতত কোনও লাভ হল না রাজ্যের। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ মেলনি। উল্টে মঙ্গলবার এই মামলায় বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্যের কাছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের নতুন করে এক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সামনে এসেছে কিছু হাই প্রোফাইল নাম। একদিকে রয়েছেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম, অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের তরুণ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এই মামলায় স্থগিতাদেশ চাওয়া হয় রাজ্যের তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে। এরপরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে হয় মামলার শুনানি। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে প্রশ্ন করে, ‘পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানে সমস্যা কোথায়?’ সঙ্গে এ ব্যাপারে রাজ্যকে বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১৮ এপ্রিল বেলা ২ টোয় ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। আপাতত কোনও অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। সমস্ত নথি রাজ্যকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজ্যের এই পদক্ষেপকে ‘তৃণমূল সরকারের বিলাসিতা’ বলে কটাক্ষ করেছেন আইনজীবী তথা বামনেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘আইনি অধিকার হলেও, নীতির প্রশ্ন আছে। দুর্নীতি হয়েছে, তদন্ত হবে। জনগণের পয়সায় মামলা করে অপচয় করা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, সিআইডি-র হাতে একটি চিঠি আসে, তাতেই পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। সেই চিঠিতেই উঠে এসেছে শাসক দলের একাধিক নেতার নাম।