নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানে রাজ্যের স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ। পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল। ছদ্মনাম চিঠিতে পাহাড়ে নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ৯ এপ্রিল সিবিআই-কে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরই এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। হাইকোর্ট সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিতেই জিটিএ-র নিয়োগ দুর্নীতিতে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই এফআইআরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে। এর ভিত্তিতে সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের আর্জি জানায় রাজ্য সরকার। আদালত এই আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের আমলেই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার অভিযোগ, বিনয়-অনীতদের সুপারিশেই চাকরি পেয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষিকারা। প্রসঙ্গত ওই সময়ে জিটিএ এলাকায় প্রাথমিক স্কুলে ১২১ জন, আপার প্রাইমারি স্কুলে ৩১৩ জন এবং হাইস্কুলে ৫৯ জনকে অন্যায়ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক। পাহাড়ের স্কুলগুলিতে বড়সড় এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের অনেকেরই। এ সংক্রান্ত একটি বেনামি চিঠি সামনে আসার পরেই সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। তবে সিবিআই অনুসন্ধানে আপত্তি জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। অবশেষে তাতে সিবিআই তদন্তই বহাল রইল।