চাকরিহারাদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকুলিয়ার সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। একইসঙ্গে চাকরিহারাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান,’যাঁদের কথা বলা হয়েছে চাকরি বাতিল করা হল, তাঁরা চিন্তা করবেন না, হতাশ হবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা সবাই আপনাদের পাশে আছি। যতদূর লড়াই করার আমরা লড়াই করব।’ সঙ্গে এও জানান, বলেন, ‘যখন বিপদে পড়বেন, আর কেউ না থাকলেও আমরা আছি। আরও ১০ লক্ষ চাকরি তৈরি হয়ে আছে।’
এদিন নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একজনকে দেখলেন না, বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে গেল। এটা তাঁর অর্ডার ছিল। সুপ্রিম কোর্ট নতুন ডিভিশন বেঞ্চ করে আলোচনা করতে বলেছিল। এই টোটাল রায়টাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। কারণ ২৬ হাজার চাকরি মানে প্রায় দেড় লাখ দুই লাখ পরিবার।’ এরই পাশাপাশি টাকা ফেরানোর ইস্যুতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, আট বছর ধরে যাঁরা চাকরি তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরাতে হবে তা সম্ভব কি না তা নিয়েও। এই প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন, ‘আপনারা যাঁরা এই রায় দিচ্ছেন সারা জীবন যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদের টাকা যদি ফেরত দিতে বলা হয় তাঁরা পারবেন দিতে? মানুষ আপনাদের সম্মান করে, আমরা আপনাদের সম্মান করি। বেকারের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।’ এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আমি বিচারপতিকে নিয়ে কিছু বলছি না। কিন্তু, এই অর্ডারটা বেআইনি অর্ডার। এটা নিয়ে উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। চিন্তা করবেন না শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং ছাত্রছাত্রীরা। আর কেউ না থাকলেও আমি আছি। আরও দশ লাখ সরকারি চাকরি আমার প্রস্তুত। একটা বিজেপি-র বিচারালয় হয়েছে, বিজেপি পিআইএল করলে বেল, অন্য কেউ করলে জেল। এটা বিচারপতিদের দোষ নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের দোষ। তাঁরা বিজেপির লোক দেখে দেখে এখানে বসিয়েছেন। যাতে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে যা বলে দেয় তার ড্রাফটা করে দেন। ডিফামেশন করবেন? আমি তৈরি। মানুষের জন্য কথা বলার জন্য যদি আমাকে শাস্তি নিতে হয় আমি মাথা পেতে নেব। পরিবার বিপদে পড়লে পাশ থেকে সরে যাব না।’