১০ বছর ধরে একটি ঘরে তালাবন্দি করে ফেলে রাখা হয়েছে দুই ভাইকে। গ্রিলের ফাঁক দিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁদের খাবার। ঘরের মধ্যে না আছে পাখা, না আছে লাইট। সেগুলো লাগানো হলেও ভেঙে দেয় তাঁরা। এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী নিউটাউনের বাসিন্দারা। এদিকে পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানো হলেও এখন আর তাঁদের পক্ষে এই চিকিৎসা চালানোর সামর্থ্য নেই। তারই জেরে বন্দি দুই যুবক। পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতা আশায় দুই যুবকের বাবা-মা।
নিউটাউন গৌরাঙ্গ নগরের ক্ষুদিরাম পল্লির বাসিন্দা বৃদ্ধ দম্পতি নির্মল মণ্ডল ও নমিতা মণ্ডলের দুই ছেলে শ্রীপদ ও সুজিত। মা নমিতা মণ্ডলের দাবি, তাঁর দুই ছেলেরই মানসিক কিছু সমস্যা রয়েছে। আর এই সমস্যায় তাঁরা ভুগছেন গত ২০ বছর ধরে। এরপরও তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে তাঁদের বউ ছেড়ে চলে যায়। বউ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে সমস্যা আরও বাড়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে। কারণ, এই দুই ভাইকে রাস্তায় ছেড়ে দিলে এলাকার লোকদের মারধর করেন। এদিকে পরিবারের তরফ থেকে তাঁদের চিকিৎসা করানো হলেো বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। বরং তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অবশেষে উপায় না পেয়ে ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই প্রসঙ্গে শ্রীপদ আর সুজিতের বাবা নির্মল মণ্ডল জানান, মা নমিতা দেবী লোকের বাড়ি কাজ করে কোনও রকমে দিন গুজরানের ব্যবস্থা করছেন। এদিকে নির্মলবাবুর বয়স এতটাই বেশি যে ভারি কোনও কাজ করতে পারেন না। এখন ভরসা একমাত্র সকারি সাহায্য। আর এই সাহায্য পেলে হয়তো বা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন শ্রীপদ আর সুজিত।