সন্দেশখালি প্রসঙ্গে ফের বিস্ফোরক তথ্য আদালতে জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরেটের তরফ থেকে জানানো হয়, শুধু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই নয়, শেখ শাহজাহানের দুর্নীতির টাকা গিয়েছে রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রীর কাছে। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, ইডি আদালতে এও জানিয়েছে, রাজ্য সরকার ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজের টেন্ডার বেআইনিভাবে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে শাহাজান ও তাঁর অনুগামীদের। সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, শাহজাহানের দুর্নীতির টাকা অস্ত্র ব্যবসাতে খাটানো হত। কালো টাকা ঘুরিয়ে কাজে লাগানো হতো অস্ত্র ব্যবসায়। এরই রেশ ধরে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী এদিন আদালতে এও জানান, তদন্তে আগেই তাঁরা জানতে পারেন, অস্ত্র ব্যবসাতেও টাকা খাটানো হয়েছে। এবার সন্দেশখালির গ্রাম থেকে অস্ত্র উদ্ধার বিষয়টি তাতে সিলমোহর দিয়েছে। এর পাশাপাশি ইডির তরফ থেকে এও আদালতে জানানো হয়, শাহজাহানের পরিবারও একাধিক বিষয় স্বীকার করেছে। সোমবার আদালতে ইডির আইনজীবী এই প্রসঙ্গে এও জানান, তাদের নজরে রাজ্যের আরও একাধিক মন্ত্রীও রয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা আদালতে এদিন এও জানান, তদন্তে উঠে এসেছে, সন্দেশখালিতে জমি দখল করে যে দুর্নীতি করা হয়েছে তার টাকা প্রভাবশালীদের হাতেও গিয়েছে। এই সূত্র ধরেই সন্দেশখালির সাধরণ মানুষের জমি জবর দখল থেকে শুরু করে ইডির এই আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় শেখ শাহজাহান সহ ৪ জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়। এই প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী আদালতে আর্জি জানান, নতুন তদন্তে উঠে এসেছে ধৃত ৪ জনের সঙ্গে মন্ত্রীরা জড়িত থাকায় এরা যদি জামিন পায় তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। এর পাশাপাশি ইডির তরফ থেকে এদিন এ অভিযোগও আনা হয়, শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিন একজন চিকিৎসকের আশ্রয়ে রয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালত সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহান সহ শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগির, শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দিদার বক্স মোল্লা এবং শিবু হাজরাকে সোমবার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়, সকাল ১১ টায়। দুপুর ১ টা বেজে ১০ মিনিটে শুরু হয় বিচারভবনে শুনানি। এরপরই নির্দেশ দেওয়া হয়, ১৩ মে অবধি জেল হেফাজতে থাকতে হবে শেখ শাহজাহান, আলমগির, শিবু হাজরা ও দিদার বক্স মোল্লাকে। অন্যদিকে এদিনই বসিরহাট আদালতে আসে সিবিআইয়ের একটি দল। বিশাল ব্যাগ, তথ্য নিয়ে ভিতরে ঢোকে তারা। যার মধ্যে ছিল সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র।