সাতসকালে কলকাতার রাস্তায় খুন কংগ্রেস নেতা। বৃহস্পতিবার এমনই এক ঘটনা ঘটে গেল নারকেলডাঙ্গা এলাকায়। মৃতের নাম ইমামুদ্দিন। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃত ইমামুদ্দিনের পরিবার সূত্রে অভিযোগ, ভোরে নমাজের পড়ে ফেরার পথে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। নারকেলডাঙা এলাকায় রাস্তার উপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় ইমামুদ্দিনকে। একইসঙ্গে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মহম্মদ আশরফ ওরফে চুন্নুই চালিয়েছে এই হামলা। এর আগেও ইমামুদ্দিনকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, চুন্নুর সঙ্গে সম্প্রতি বিবাদেও জড়িয়েছিলেন ইমানুদ্দিন। বেআইনি পার্কিংয়ের প্রতিবাদ করায় সম্প্রতি ইমামুদ্দিনকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ১৩ এপ্রিলের ঝামেলার পর সে জন্য বাড়ির বাইরে ছিলেন ইমামুদ্দিন।দুদিন আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। তার পর বৃহস্পতিবার সকালে নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন। মসজিদ থেকে ফেরার পথেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়। ৬-৭জন তাঁর উপর হামলা চালিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এর পর ইমামুদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমামুদ্দিনের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল চুন্নুর। গত ১৩ এপ্রিল এ নিয়ে তাঁদের মধ্য হাতাহাতিও হয়েছিল। ইমামুদ্দিনের সঙ্গী ফকরুদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। তার পর ইমামুদ্দিন নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দিন দুয়েক আগেই ইমামুদ্দিন বাড়ি ফিরেছিল। তারপরই এই ঘটনা।
এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে ইমামুদ্দিনের বাড়ি যান উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি মৃত দলীয় কর্মীর পরিবারের লোকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয় তৃণমূলের তরফ থেকে।