শীর্ষ আদালতে জামিন পেলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ

জামিন পেলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। বহরমপুরে ভোটের পরের দিনই জামিন মিলল তাঁর। নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেই মামলায় জামিনের আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এরপর মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত তাঁর জমিনের আর্জি মঞ্জুর করে। শাসক দলের বিধায়কের হয়ে এদিন শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি ও অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা।

এক বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেল জেলবন্দি বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সিবিআই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় নিজের দুটি মোবাইল বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রায় ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রায় ৩,৪০০ প্রার্থীর তথ্য উদ্ধার হয়েছিল বলে জানিয়েছিল সিবিআই। এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ চর্চাও হয় সেই সময়। এরপর থেকে ১৩ মাস হতে চলল, জেলেই রয়েছেন শাসক দলের বিধায়ক। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন বটে, কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। আর এই জামিনের আবেদনের শুনানি পর্বে সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী দাবি করেন, চাকরিপ্রার্থীরা টাকা ফেরত চাওয়ার পর জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছিল পুলিশ। পুকুরে ফেলে দেওয়া ফোন উদ্ধারের পর, সেই ফোন থেকে এই তথ্য পাওয়া যায় বলে দাবি সিবিআই আইনজীবীর। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের তরফ থেকে এও দাবি করা হয়, জীবনকৃষ্ণের সেই মোবাইল থেকে একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য মেলে। সেখানে একাধিক অডিয়ো কল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বহু অযোগ্য প্রার্থীদের অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। এরপরই জামিনের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জীবনকৃষ্ণ সাহা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 15 =