কলকাতা হাইকোর্টে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণে তিনি সরে দাঁড়ালেন বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। ফলে নতুন বেঞ্চে মামলা দেওয়ার জন্য ফাইল চলে গেল প্রধান বিচারপতির কাছে। তবে মামলাটি কোন বেঞ্চে যাবে সেই সংক্ৰান্ত এখনও কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে তমলুকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে নিজের মনোয়ন পত্র জমা দিতে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেদিন তমলুকের রাজবাড়ি ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা শুরু হয়। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। মিছিলে প্রচুর বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেন। তবে এ মিছিলটি হাসপাতাল মোড়ে পৌঁছতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়। এদিকে সেইসময়েই হাসপাতাল মোড়ের কাছে অনশন কর্মসূচি চালাচ্ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এর কিছুদিন আগেই চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই এই অনশন বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের তরফে অভিযোগ, বিজেপির সেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার মিছিল থেকে তৃণমূলপন্থী শিক্ষকদের বিক্ষোভ সমাবেশের উপর আক্রমণ করা হয়। বিজেপি কর্মীরা আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় এক শিক্ষিকা এবং দুই শিক্ষক নেতা জখম হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ নামাতে হয়।
এই ঘটনার পর তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ময়নার তিলখোজা এলাকার প্রশান্ত দাস-সহ অন্তত ৫০ জনের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। খুনের চেষ্টা, হামলা, ভাঙচুর-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।