লোকসভা নির্বাচনের যখন ৪ টি ফেজ শেষ হয়েছে ঠিক সেই সময়ে কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সামনে এল। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। বিশ্বজিৎ সরকারের দাবি, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে ৪ জুনের পর অর্থাৎ ভোট গণনার পর তাঁর অবস্থাও অভিজিতের মতো করা হবে। এই হুমকি পাওয়ার পরই নারকেলডাঙা থানায় গিয়ে অভিযোগও জানান বিশ্বজিৎবাবু। এই অভিযোগে সরাসরি আঙুল তুলেছেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ বিশ্বাস ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই এফআইআরও রুজু করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের আবহে খুন হয়েছিলেন উত্তর কলকাতার কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ দাস। সেক্ষেত্রেও অভিযোগের তির উঠেছিল তৃণমূলের দিকে। বর্তমানে অভিজিৎ দাসের দাদা বিশ্বজিৎ দাস কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পান। সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরও জোরদার হয়েছে বিশ্বজিৎ দাসের নিরাপত্তা। নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ দাসের দাদা বিশ্বজিতের নিরাপত্তার জন্য কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র দেহরক্ষী মোতায়েন করার নির্দেশ দিতে দেখা যায় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তকে।
এদিকে এই অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ বিশ্বাস। কাউন্সিলরের বক্তব্য, মিথ্যাকে আশ্রয় করে চলা ওঁর অভ্যেস, তাই এসব করছে। এরকম কিছু ঘটনাই ঘটেনি। আশা করি ওঁর কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে, সেটা বিশ্বজিৎবাবুর অভ্যাস। ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। একইসঙ্গে পাপিয়া ঘোষ বিশ্বাস এও জানান, তৃণমূল যখন প্রচার করছিল তখন বিশ্বজিৎ সরকারই তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকেন। তখন তৃণমূলের তরফ থেকেও পাল্টা স্লোগান তোলা হয়েছিল। এর বেশি কিছু হয়নি।