বানতলার চামড়া কারখানা থেকে যে দূষিত জল বের হয় এবার তা শোধন করে রাস্তা ও গাড়ি ধোয়ার কাজে ব্যবহার করতে চায় পুরসভা। এ ব্য়াপারে কলকাতা পুরসভাকে সবুজ সংকেত দেওয়াও হয়েছে খড়্গপুর আইআইটি-র তরফ থেকে। এরপর থেকে পুরসভার নিকাশি বিভাগ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে কোমর বাঁধছে।
বানতলার চর্মশিল্প তালুক থেকে বেরোনো জলে দূষণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পুরসভার নিকাশি বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা এই প্রসঙ্গে জানান, শোধন প্রক্রিয়া চালু করা গেলে বানতলা নিয়ে দূষণের অভিযোগের মাত্রা কমবে। সম্প্রতি বানতলা এলাকার খালের জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছিল খড়্গপুর আইআইটিতে। এই প্রসঙ্গে নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং জানান, ‘আইআইটি সবুজ সংকেত দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বানতলার চামড়া কারখানা থেকে যে জল বেরোয়, তা পরিশোধন এবং জীবাণুমুক্ত করে রাস্তা ও গাড়ি ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা যাবে।’ সঙ্গে এও জানান, ভোট-পর্ব মিটলেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, কয়েক লক্ষ টাকা খরচে পুরসভা পরিশোধিত জল তৈরি করে। অনেক সময়ে সেই জল ব্যবহার করে গাড়ি ধোয়া হয়। এতে পরিশোধিত জলের বড় অংশের অপচয় হয়। বানতলার চর্মশিল্প তালুক থেকে বেরোনো জল নিয়ে যে পরিকল্পনা, তা যদি বাস্তবায়িত হয়, তা হলে শহরে গাড়ি ধোয়ার কাজে পরিশোধিত জলের ব্যবহারেও রাশ টানা যাবে।
তবে এই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের সব থেকে বড় মাথাব্যথা ছিল জীবাণু নিয়ে। এবার সেই জল জীবাণুমুক্ত করার সবুজ সংকেত মেলায় তাঁরা স্বস্তিতে। ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, এই পরিকল্পনায় পুরসভার আয়ের রাস্তাও খুলবে। পুরসভার তরফ থেকে গাড়ি ধোয়ার জন্যে ইতিমধ্যে পৃথক জায়গা চিহ্নিতও করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘বানতলার চামড়া কারখানা থেকে যে দূষিত জল বেরোয়, তার কী বিকল্প ব্যবহার সম্ভব, তা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা অনেক দিনের। আইআইটি-র সবুজ সংকেত মেলার পরে আমরা এই কাজ বাস্তবায়িত করার বিষয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছি।’