গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি

মঙ্গলবারই আদালতের নির্দেশে ৭ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাসের। এবার মঙ্গলাবরের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে দেখা গেল তাঁকে। আদালত সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে হতে চলেছে এই মামলার শুনানি।

এদিকে সম্প্রতি সন্দেশখালি সংক্রান্ত একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই সমস্ত ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা হয়নি নিউজ ৩৬৫x ২৪-এর তরফ থেকে। তবে এই সব ভিডিও সামনে আসার পর বারেবার সামনেএসেছে মাম্পি দাসের নাম। তাঁর বিরুদ্ধে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের দিয়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করানোর অভিযোগ তুলেছেন সন্দেশখালির বেশকয়েকজন মহিলা। এমনকী তাঁরা পরে যখন অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চেয়েছেন তখন মাম্পি তাঁদের ভয় দেখিয়েছেন বলেও দাবি ওই মহিলাদের। এই বিষয়ে সম্প্রতি সন্দেশখালির এক মহিলা দাবি করেন, তাঁর গ্রেফতার হওয়া ভাইকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনার শর্তে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন মাম্পি। কিন্তু পরে তিনি অভিযোগ তুলে নিতে চাইলে বিজেপির তরফে তাঁকে শাসানোও হয় বলেও অভিযোগ।

লাগাতার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে থাকায় বেগতিক বুঝে গ্রেফতারি এড়াতে মঙ্গলবার তড়িঘড়ি বসিরহাট আদালতে জামিন চাইতে যান পিয়ালি। কিন্তু জামিন তো মেলেইনি, উলটে তাঁকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বুধবার বসিরহাট আদালতের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার আবেদন জানান বিজেপি নেত্রী। আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল যে অভিযোগ জানিয়েছে সেখানেও রয়েছে মাম্পি দাসের নাম। তৃণমূলের অভিযোগ, জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা সন্দেশখালিতে এসে সেখানকার মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিলেন। তারপরেই ধর্ষণের ‘মিথ্যা অভিযোগ’ দায়ের হয় বলে দাবি। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই কাজে রেখা শর্মার সহযোগী ছিলেন পিয়ালিও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 4 =