বাঙালি মাত্রই ফুচকার প্রেমে পাগল। আর আম বাঙালির এহেন ফুচকা প্রীতি দেখেই কিন্তু চমকে ওঠেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ফুচকা এমনিতেই একটি ক্ষতিকর খাবার। এর উপর আপনি যদি গরমকালে প্রায়দিন-ই ফুচকা খেয়ে রসনাতৃপ্তি করেন, তাহলে সমস্যার শেষ থাকবে না!
কারণ, গরমের দিনে এমনিতেই আমাদের হজম ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। তার উপর নিয়মিত ফুচকার মতো একটি তেল-মশলা সমৃদ্ধ খাবার খান, তাহলে অচিরেই পিছু নেবে গ্যাস-অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। বিশেষত, আইবিএস-এ ভুক্তভোগীদের এইসব সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই আর সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব এই খাবারের থেকে দূরত্ব বাড়ানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর তা করলেই ফিরবে পেটের হাল।
গরমের সময় নিয়মিত ফুচকা খেলে রাতবিরেতে পিছু নিতে পারে পেট ব্যথা। এমনকী ফুচকার জলের কারণে বমি-ডায়ারিয়াতে ভোগাও বিচিত্র নয়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত ফুচকা খেলে কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের ফাঁদে পড়ারও আশঙ্কা বাড়ে। তাই এইসব জটিল অসুখের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলে যত দ্রুত সম্ভব ফুচকা থেকে দূরত্ব বাড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
শুধু তাই নয়, ফুচকা একটি হাই ক্যালোরি ফুড। এমনকী এই খাবারে প্রচুর আলুও থাকে। আর এই দুই কারণেই মূলত মুখোরোচক ফুচকা খেলে সুগার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই ডায়াবিটিস রোগীরা ভুলেও রোজ রোজ এই খাবার খাবেন না। এই ভুলটা করলে কিন্তু আদতে সুগার বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাবে। আর সেই কারণে বাড়াতে হতে পারে ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ।
আর মনে রাখবেন, ফুচকা তেলে ভেজে তৈরি করা হয়। আর যে কোনও ভাজা খাবারই রক্তে কোলেস্টেরল লেভেল বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে। আর রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডস বাড়লে যে অচিরেই হার্টের অসুখের ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা যে বেশি তা বলাই বাহুল্য! আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন ফুচকা থেকে দূরত্ব যথাসম্ভব বাড়াতে।