সরকারি জায়গা নিয়ে স্বজন পোষণের অভিযোগে নাম জড়াল এনকেডিএ-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান দেবাশিস সেনের। মেলা ও দুর্গাপুজো করার জন্য সব বিধি ভেঙে নিজের স্ত্রীকে সরকারি মেলা গ্রাউন্ড পাইয়ে দেওয়া সহ নানা সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ, দুর্গাপুজো ও মেলা করার জন্য মামলাকারীর আবেদন খতিয়ে দেখতে হবে এনকেডিএ-কে।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, মামলাকারী বরুণ বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন, তিনি মেলার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে মাঠ দেওয়া হয়নি। এদিকে নিজের স্ত্রীকে ৩ লক্ষ টাকার মাঠ মাত্র ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ব্যবহার করতে দিয়েছেন।
মামলা চলাকালীন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, মামলাকারী যা অভিযোগ করছেন, তার যদি ২০ শতাংশ সত্যি হয় সেটাও যথেষ্ট গুরুতর। কোন নিয়মে সরকারি জমি ৩ লক্ষ টাকার জায়গায় ৩০ হাজার টাকায় দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা অভিযুক্তকে দিতে হবে। এরই পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞান এও বলেন, কেউ চেয়ারম্যান থাকলে তাঁর পরিবার আবেদন করতেই পারেন না। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘উনি অবসর নিয়েছেন। এরপর রাজ্য তাঁকে আরও একটা অ্যাসাইমেন্ট দিয়েছে। এই গুলো রাজ্যের প্রাইম এরিয়া। এতে জনগণের অধিকার রয়েছে।
অপরদিকে, এনকেডিএ-র আইনজীবী জিষ্ণু চৌধুরী আদালতে সওয়াল করেন, ‘এটা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হলে আমরা উত্তর দেব।’ সঙ্গে এও বলেন, ‘মামলাকারী কখনই বলেননি যে এলাকায় পুজো হয় সেখানে পুজো করবেন। হিডকো বাতিল করে দেয় কারণ একই চত্ত্বরে অন্য অনেক পুজো হয়। শুধুমাত্র তাকেই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এটা তাঁর ভুল ভাবনা।’ এরপরই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা যদি সত্যি হয় এবং অন্যকে আবেদন করা সত্ত্বেও যদি নিজের স্ত্রীকে ওই জমি দিয়ে থাকেন,তাহলে সেটা ইন্টারেস্ট অফ কনফ্লিক্ট।’ এরই রেশ ধরে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, আপাতত এই মামলায় আবেদনকারী দুর্গাপুজো ও মেলা করার জন্য যে সব আবেদন করেছেন তার অনুমতি দেওয়ার বিষয় খতিয়ে দেখতে হবে এনকেডিএ-কে।