অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, এমনটাই খবর জোড়াফুল শিবিরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নোংরা মন্তব্য এবং অবমাননাকর ভাষা ব্যবহারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের মহিলাদের অবমাননা করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখার সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এইরকম অপমানজনক বক্তব্য উচ্চারণ করে আজ শালীনতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন। কোনও ভদ্র মানুষ এমন ভাষায় কথা বলতে পারে না। নারীর মর্যাদা কীভাবে রক্ষা করা যায় তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে ভালো কেউ জানেন না। বাংলার মানুষ কখনোই এ ধরনের ভাষা মেনে নেবে না।’ সঙ্গে এও জানান, এটি বিজেপির ‘নারীবিদ্বেষী সংস্কৃতি’।

বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী কীর্তি আজাদ বলেন, ‘মোদি এবং বিজেপির দ্বারা নির্বাচিত প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা বলার যোগ্য নয়। শুধুমাত্র বিজেপি এবং মোদিই নিশ্চিত করতে পারে যে নারীদের আপমান তাঁদের একমাত্র গ্যারান্টি। উন্নাও, হাথরাস এবং বিলকিস বানো মামলায় মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য তারা দায়ী। একদিকে তাঁরা বলেছে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’, আর বিজেপি যখন মহিলাদের অপমান করে, তখন মোদি চুপ থাকেন।’

এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেন রাজ্যের অপর মন্ত্রী শশী পাঁজাও। তিনি বলেন, ‘ আপনার সাহস কোথা থেকে এল, আমাদের জননেত্রীর সম্বন্ধে এরকম কুরুচিকর মন্তব্য করার? তিনি দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। এটা আমাদের কল্পনার বাইরে। এটা রাজনীতি নয়, এটা চূড়ান্ত অভদ্রতা! ওঁর (অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) এই মুহূর্তে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

প্রসঘ্ত, বুধবার হলদিয়ার চৈতন্যপুরে একটি সভা ছিল তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আপত্তিকর কিছু বক্তব্য রাখেন তিনি। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর প্রসঙ্গ টেনে এনে কুরুচিকর কিছু মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + 18 =