গরম পড়তেই পথ চলতি বাঙালি পছন্দসই তরমুজ কিনে বাড়ি ফিরছেন-এটাই চেনা দৃশ্য। কিছু স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞ সাধারণ মানুষকে সচেতন করে জানাচ্ছেন যে, এভাবে রোজ রোজ এই ফল খেলে কিন্তু বাড়তে পারে ওজন! আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সব বিশেষজ্ঞদের মুখে এইসব কথা শুনেই ভয় পেয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কি তরমুজ খেলে বাড়তে পারে ওজন?
এদিকে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আমাদের অতি প্রিয় তরমুজ ভিটামিন এ,ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের ভাণ্ডার। আর এইসব উপাদান কিন্তু দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, এতে মজুত ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যারোটিনয়েডস, লাইকোপেন কিন্তু শরীরকে একাধিক জটিল অসুখ থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে এই ফলে মজুত ফ্লুইড শরীরে জলের ঘাটতিও মিটিয়ে দেয়। এমনকী এই ফলের গুণে হার্ট, চোখ সহ দেহের একাধিক অঙ্গের হালও ফেরে। একইসঙ্গে তাঁরা এও জানাচ্ছেন, তরমুজ একটি লো ক্যালোরি ফুড। তাই এই ফল খেলে ওজন বাড়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না। উল্টে একটু সমঝে-বুঝে খেলে এই ফলের গুণে মেদ ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই ওজন বাড়ার ভয়ে তরমুজের থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নেবেন না। বরং কোনও পুষ্টিবিদের পরামর্শ, এই ফলকে ওয়েট লস ডায়েটে জায়গা করে দেওয়া উচিত।।
আমাদের মধ্যে অনেকেই তরমুজের রস করে খান। এমনকী এই রসের মধ্যে আলাদা করে চিনি-মিষ্টি মিশিয়েও পান করেন অনেকে। আর এসব কারণেই এই পানীয়ের ক্যালোরি ভ্যালু বেড়ে যায়। আর যে কোনও হাই ক্যালোরি পানীয় খেলে যে অচিরেই ওজন বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই ওজনকে বশে রাখতে চাইলে এভাবে তরমুজের জুস বানিয়ে খাবেন না। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই সুস্থ থাকবেন।