সবসময়ই কোনও না কোনও কারণে খবরে থাকেন বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাউত। বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েন কারণে-অকারণে। আর এই কঙ্গনাই এবার হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী। নির্বাচনের আগে নিয়ম অনুসারে ১৪ মে অভিনেত্রী তাঁর নির্বাচনী হলফনামা জমাও দেন। যেখানে অভিনেত্রীর একটি মার্সিডিজ মেব্যাচের মতো তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি সহ ৬২.৯২ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি এবং ২৮.৭৩ কোটি মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।
কঙ্গনার নির্বাচনী হলফনামা প্রকাশ করে বলেছন যে অভিনেত্রীর ২ লাখ টাকা ক্যাশ এবং প্রায় ১.৩৫ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ব্যালান্স রয়েছে। এছাড়াও তাঁর মুম্বই, পঞ্জাব এবং মানালিতেও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে এবং ৩.৯১ কোটি মূল্যের একটি মার্সিডিজ মেব্যাচ-সহ তিনটি বিলাসবহুল গাড়িও রয়েছে। আছে ৬.৭০ কেজি সোনা, পাঁচ লাখ টাকার ৬০ কেজি রুপো এবং আনুমানিক ৩ কোটি মূল্যের ১৪ ক্যারেট হিরের গয়না রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে কোনও কৃষি বা অকৃষি জমির মালিক নন। তবে সবচেয়ে যেটা উল্লেখযোগ্য তা হল ৫০টিরও বেশি এলআইসি পলিসি রয়েছে অভিনেত্রীর। কিন্তু, সবকিছুর মধ্যে বলিউড অভিনেত্রীর ৫০টি জীবন বিমা কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার নীতিগুলো নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে, কঙ্গনা রানাউত বলেন, ‘আজ আমি মান্ডি এলএস আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। মান্ডি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য গর্বের বিষয়। আমি বলিউডে যেমন সফল হয়েছি এবং আমি আশাবাদী যে আমি রাজনীতির ক্ষেত্রেও সাফল্য পাব।’ সঙ্গে এও জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আটটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং চারটি মানহানির মামলা রয়েছে। আগামী ১ জুন হিমাচল প্রদেশের ভোটগ্রহণ।