নির্বাচনের কাজে নানা জায়গায় ছুটতে হচ্ছে কলকাতা পুলিশের কর্মী থেকে আধিকারিকদের। তাই কলকাতার বহু থানা রক্ষার দায়িত্ব পড়েছে নারী শক্তির হাতেই। যার ফলে মহিলা পুলিশকর্মীদের থাকতে হচ্ছে থানার ‘সেন্ট্রি’র দায়িত্বে। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে অস্ত্র ছাড়াই পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হচ্ছে থানার গেটের কাছে। এদিকে আবার নির্বাচনী এই আবহে থানাতেও থাকতে হবে বাহিনী। কারণ, যে কোনও সময়ে থানা পরিদর্শন করতে পারেন অবজার্ভাররা।
এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরকারি নির্মাণ থেকে চলছে নির্বাচনী প্রচারের হোর্ডিং সরানোর কাজ। সেই কাজে পুরসভাকে সাহায্য করতে হচ্ছে পুলিশকেই। তার উপর লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে সকাল-বিকেল প্রার্থীদের মিটিং ও মিছিল, জনসভা লেগেই আছে। আর এই প্রত্যেক জনসভা, পথসভা ও মিছিলে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে পুলিশকে। নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেকটি এলাকায় চলছে পুলিশের টহল। এছাড়া দিন ও রাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে চলছে নাকা চেকিং। তাই থানাগুলিতে পুলিশকর্মীর সংখ্যা এখন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। কিন্তু পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম হলেও কোনও থানায় রক্ষী বা সেন্ট্রির জায়গা খালি রাখা যায় না।
সাধারণত সেন্ট্রির ডিউটি করতে হয় সশস্ত্র পুলিশকর্মীদের। কিন্তু পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম থাকার ফলে বেশির ভাগ থানায় ভরসা এখন নারী শক্তিই। বেশ কিছু থানায় সেন্ট্রির জায়গায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করতে হচ্ছে মহিলা পুলিশকর্মীদেরই। রীতিমতো পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই দাঁড়িয়ে ডিউটি করছেন তাঁরা। থানায় আসা সাক্ষাৎপ্রার্থীরা তাঁদের কাছ থেকেই জেনে নিচ্ছেন, কী কাজের জন্য কোন জায়গায় যেতে হবে অথবা কোন আধিকারিক থানায় উপস্থিত রয়েছেন বা নেই। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে থানার সেন্ট্রির ডিউটির জায়গায় রাখা হচ্ছে পাখা। সিলিং ফ্যান বসানোর সম্ভাবনা যেখানে নেই, সেখানে থাকছে টেবিল ফ্যানই।
আবার পুলিশকর্মীদের থানার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েও বাইরে ভোটের ডিউটিতে যেতে হচ্ছে। তাই অনেক থানায় এই নারী শক্তিকে অস্ত্র ছাড়াই সেন্ট্রির ডিউটি করতে হচ্ছে। এদিকে, ট্রাফিক পুলিশের কর্মীদেরও ক্রমে বাইরের ডিউটিতে যেতে হচ্ছে। তাই শহরের ট্রাফিক চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেরকমই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।