কাজল সিনহা
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ছবিতে কালি মাখানোর ঘটনা একেবারেই ভাল চোখে নেয়নি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের একাংশকে এবার সতর্ক করে দেওয়াও হল কংগ্রেসের হাইকমান্ডের তরফ থেকে। সঙ্গে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হল, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
প্রসঙ্গত, রবিবার কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসের কার্য্যালয় বিধান ভবনের বাইরে দলেরই কর্মী-সমর্থকদের একাংশের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেনুগোপাল বিবৃতি জারি করে দলেই নেতা-কর্মীদের একাংশকে সতর্ক করে দেন।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আবহে গত শনিবারই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে সতর্ক করে দিয়েছিল জাতীয় কংগ্রেস। মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক প্রসঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, অধীর চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য হাইকমান্ড আছে। সঙ্গে এও বলে দেওয়া হয়েছিল, কেউ সেই সিদ্ধান্ত মানতে না পারলে তিনি বেরিয়ে যেতে পারেন। খাড়্গের এই মন্তব্যের পর অধীরও মুখ খুলেছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেস নেতার বক্তব্য ছিল, ‘কংগ্রেসকে কেউ খতম করবে, আমি তাঁকে খাতির করব, তা হতে পারে না।’
সেই ঘটনার পরই রবিবার বিধান ভবনের বাইরে এক চরম দৃশ্য ধরা পড়ে। বিধান ভবনের বাইরে মল্লিকার্জুন খাড়্গের ছবিতে ‘কালি’ লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে। ছবির নিচে খাড়্গেকে ‘তৃণমূলের দালাল’ বলে তকমা দিয়ে লিখেও দেওয়া হয়েছিল। তড়িঘড়ি সেই হোর্ডিং সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিধান ভবনের সামনে থেকে। আর এবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে বিবৃতি দিয়ে সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হল।