রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা ও সাধুদের নিয়ে রাজনীতি প্রসঙ্গে সরব সংখ্যালঘু ধর্মগুরুরা

কাজল সিনহা

 

জলপাইগুড়িতে মধ্যরাতে রামকৃষ্ণ মিশন হামলার অভিযোগ। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক যোগের অভিযোগ তুলে বেলডাঙায় ভারত সেবাশ্রম সঙ্খের প্রধান কার্তিক মহারাজকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই দুই ঘটনায় লোকসভা নির্বাচনের আবহে বাংলায় ভীষণভাবে সাধু-সন্তরা রাজনৈতিক আঙিনায় চলে এসেছেন। এই পরিস্থিতিতে সন্তদের আক্রমণ নিয়ে ধর্মগুরুদের মধ্যে থেকে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়।

এ প্রসঙ্গে মেটিয়াবুরুজের সহরিয়া মসজিদের ইমাম আব্দুল কাদরির বক্তব্য, ‘রাজনীতি করছেন, রাজনীতি করুন। কিন্তু কোনও ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করা, এটা সঠিক নয়। হিন্দুদের একদিকে রাখা, আর মুসলিমদের আরেক দিকে রাখা সঠিক নয়। কাউকেই উস্কানো ঠিক নয়।’

আঞ্জুমান বাহারুল মুসলিমিন মাদ্রাসার শিক্ষক মহম্মদ আরশাদ খান জানান, ‘যে নেতা যে পার্টিই করছেন, করুন। তাতে আমাদের কিছুই যায় আসে না। কিন্তু ধর্ম, যাঁর যে ধর্মই থাকুক না কেন, রাজনীতির ক্ষমতায় আওতায় ধর্মকে না আনা উচিত।’

একই মত  প্রাক্তন মৌলবি মহম্মদ মুস্তাকিনেরও। তিনি  বলেন, ‘হিন্দু-মুসলিম যে ধর্মই হোক না কেন, সে তার নিজ নিজ স্থানে ভালো। আর রাজনীতির যেখানে প্রশ্ন, সেটাই নিজের জায়গায় সঠিক। দুটোকে গোলালে চলবে না। কারোর ধর্ম মাঝখানে নিয়ে এসে তাকে অপমান করা সঠিক নয়। ’ তবে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সন্ন্যাসীরা আশঙ্কা করছেন, ফের হামলা হতেই পারে। বেলডাঙার কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘আমরা হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’ সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীরও আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 13 =