পার্থ রায়
প্রবীণদের ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বেলেঘাটা চত্বর। মঙ্গলবার দুপুরে বচসা থেকে পরিস্থিতি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এরপর প্রায় আধঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে কোনোরকমে গাড়িতে তুলে বের করে নিয়ে আসা হয় বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন এবার নিয়ম করেছে, ৮৫ বছরের বেশি যাঁদের বয়স, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ভোটগ্রহণ করা হবে। মঙ্গলবার তেমনই দু’জনের কাছে ভোট নিতে গিয়েছিলেন কমিশনের কর্মীরা। সূত্রে খবর, এই দুই প্রবীণের বাড়িতে ভোট নিতে গেলে সেখানে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। এদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, প্রবীণদের ভোটগ্রহণের সময় শুধু নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের থাকার কথা। কিন্তু সেখানে বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে হাজির হন বিজেপি প্রার্থী। এই প্রসঙ্গে কাউন্সিলর আশুতোষ দাসের প্রশ্ন, ‘কমিশনের কাজ তো কমিশন করবে। সেখানে কমিশনের লোক থাকবেন। কিন্তু বিজেপির প্রার্থী কী করছিলেন? আর সেই কারণেই সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেছেন।’
এদিকে পাল্টা বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর আশুতোষ দাসের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। হেনস্থা করা হয়েছে উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কেও। এক বিজেপি কর্মীকে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।