আয়ুষী দাস
পালং শাক অত্যন্ত পুষ্টিকর কারণ এতে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এদিকে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে সবুজ শাক-সবজি রাখা উচিত। কিন্তু বাচ্চারা অনেক সময় শাক খেতেই চায় না। আর এতে মায়েরাও পড়েন চিন্তায়। এদিকে পাকোড়া তো আমাদের সবারই পছন্দের! তাহলে পালং শাক দিয়ে যদি মুচমুচে পাকোড়া তৈরি করা যায়, তাহলে কেমন হয়? এতে যাঁরা শাক খেতে পছন্দ করে না, তারাও কিন্তু মজা করে খাবে। তাহলে দেরি না করে, বানিয়ে ফেলা যাক পালং পাকোড়া।
পালং পাকোড়া তৈরির নিয়ম
উপকরণ
পালং শাক- ১ আঁটি
বেসন- ১ কাপ
হলুদ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
লালমরিচের গুঁড়ো- ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা- গোটা ৬
চাট মসলা- ১ চা চামচ
লবণ– পরিমাণমতো
বেকিং পাউডার- ১ চা চামচ
তেল- ভাজার জন্য
প্রস্তুত প্রণালী
১) প্রথমে শাকের আঁটি থেকে কচি ও সতেজ পাতাগুলো বেছে নিন। তারপর পালং পাতাগুলো জল দিয়ে ধুয়ে তুলে রাখুন।
২) অন্যদিকে বড় একটি পাত্রে বেসন, বেকিং পাউডার, লবণ, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো ও মরিচের গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
৩) এবার এই মিশ্রণে আস্তে আস্তে জল দিন এবং ঘন করে গোলা তৈরি করে নিন। বেগুনি বা চপ বানানোর জন্য যেমন গোলা বানিয়ে নেন, সেভাবেই এটি বানাতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, গোলা যেন পাতলা না হয়ে যায়!
৪) আভেনে কড়াই বা প্যান বসিয়ে তেল গরম করতে দিন। বার্নারের তাপ মাঝারি রাখবেন।
৫) তারপর ধুয়ে রাখা পালং পাতা এই গোলায় চুবিয়ে নিন। সবদিকে যেন সমানভাবে কোটিং হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৬) এবার এটি গরম তেলে দিয়ে দিন এবং বাদামি রং না আসা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।
৭) একপাশ ভাজা হয়ে গেলে সাবধানে উল্টিয়ে দিন। ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে তেল থেকে তুলে কিচেন টিস্যুতে রাখুন ও উপর থেকে সামান্য চাট মসলা ছিটিয়ে দিন।
৮) এভাবে এক এক করে সবগুলো পালং পাকোড়া ভেজে নিন। টিস্যুতে রাখলে এটি পাকোড়ার গায়ে লেগে থাকা এক্সট্রা তেল শুষে নেবে। উপরে চাট মসলা দেওয়াতে এটার স্বাদ কিন্তু আরও বেড়ে যাবে।
ব্যস, অল্প সময়েই তৈরি হয়ে গেল মজাদার ও হেলদি একটি স্ন্যাকস। এবার পছন্দের সসের সাথে গরম গরম পালং পাকোড়া সার্ভ করে দিন। বাচ্চাদের টিফিনে কিংবা বিকালের খাবারে দারুণ মানিয়ে যাবে এই স্ন্যাকস। আর গরম ভাতের সাথেও এই পাকোড়া জমে দারুণ।