আন্তর্জাতিক ফোরকাস্ট মডেলের ভবিষ্যতবাণী বাংলাতেই ল্যান্ডফল হবে রিমলের

শুভদ্য়ুতি ঘোষ

 

ঘূর্ণিঝড় রিমল নিয়ে কেন্দ্রীয় মৌসম ভবনের তরফ থেকে কোনও ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ না করা হলেও একাধিক আন্তর্জাতিক ওয়েদার ফোরকাস্ট মডেলের তরফ থেকে যে প্রেডিকশন বা ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে তাতে বঙ্গবাসীর একাংশের কপালে জমেছে আশঙ্কার মেঘ। তিনটি আলাদা আলাদা প্রেডিকশনে বলা হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় রিমল।

এখানে বলে রাকা শ্রেয়, সাধারণত বেশ কয়েকটি আলাদা, আলাদা বিষয়ের উপর নির্ভর করে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়। তার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা, হওয়ার গতি থেকে শুরু করে একাধিক এমন অনেক কিছু মাত্রা। এগুলিকে বলা হয়, ওয়েদার প্রেডিকশন মডেল।  সেই একাধিক মডেল মঙ্গলবার পর্যন্ত একাধিক প্রেডিকশন দেখালেও বুধবার থেকে সমস্ত ক্ষেত্রেই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ দেখাচ্ছে তা এগোচ্ছে বাংলার পথে। বিশেষ অ্যাপ উইন্ডি মারফত যে ছবি মিলেছে, তাতে স্পষ্ট ভাবে এমন চিত্রই ধরা পড়ছে।

জিএফএস প্রেডিকশন মডেল অনুসারে আগামী ২৭ তারিখ দুপুরের পর দিঘা উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় ঝড় আছড়ে পড়তে পারে। দিঘা উপকূলের সামান্য হেরফেরে থাকতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র। সে দিক থেকে দেখতে গেলে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর শহর। এর পাশাপাশি আইসিওএন প্রেডিকশন মডেলে দেখা গিয়েছে আগামী ২৬ মধ্যরাতে বা ২৭ ভোরে সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। যদিও ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।

তবে মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে আরও ঘনীভূত হবে গভীর নিম্নচাপে। গভীর নিম্নচাপ শুক্রবারের পর উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে শনিবার সন্ধ্যায়। এরপর ভারতের মৌসুম ভবন নিশ্চিত করে ঘূর্ণিঝড়ের কথা না জানালেও বিশ্বের বিভিন্ন মডেল বলছে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের মাঝে কোন স্থলভাগে। বালাসোর থেকে সাগরের মাঝে সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =