পায়েল আদক
ঢেঁড়স খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি, এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ, এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার এবং বিভিন্ন ভিটামিনে ভরপুর। শুধু তাই নয়, ঢেঁড়স দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সহায়তা করে ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। সাধারণত ভাজি করেই আমরা ঢেঁড়স খেয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু ঢেঁড়সের আরও অনেক মজাদার রেসিপি আছে! তেমনই একটি আইটেম হচ্ছে মাসালা ঢেঁড়স। বিভিন্ন মসলার মিশ্রণে তৈরি আলু দিয়ে ঢেঁড়সের মাসালা কারি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি রেসিপিটাও কিন্তু বেশ সহজ। তাহলে দেরি না করে বানিয়ে ফেলা যাক মাসালা ঢেঁড়স।
মসালা ঢেঁড়স তৈরির পদ্ধতি
উপকরণ
ঢেঁড়স– ২৫০ গ্রাম
আলু- ২টি
পেঁয়াজ কুঁচি- ১/২ কাপ
হলুদ গুঁড়ো- ১ চা চামচ
লাল মরিচের গুঁড়ো- ১ চা চামচ
কাঁচালঙ্কা ফালি- ৪টি
লবণ- স্বাদমতো
জিরা গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
তেল- ৩ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালী
১) প্রথমে আপনার পছন্দমতো আকারে আলু ও ঢেঁড়সগুলো কেটে নিন। ছোট ছোট করে কাটলে মসলার সাথে সবজিগুলো ভালোভাবে মিশবে। ঢেঁড়স কাটার আগে ধুয়ে নেবেন। কারণ, কাটার পর ধুলে অনেকটা পিচ্ছিল হয়ে যায়।
২) আভেনে কড়াই বা প্যান বসিয়ে তেল গরম করতে দিন। আভেনের আঁচ মাঝারি রাখবেন।
৩) তেল গরম হয়ে গেলে কেটে রাখা আলু ও ঢেঁড়সগুলো দিয়ে দিন। সামান্য লবণ ও হলুদ গুঁড়ো ছিটিয়ে নাড়তে থাকুন।
৪) খুব ভালোভাবে সবজিগুলো ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে এগুলো একটি পাত্রে তুলে রাখুন।
৫) এবার ঐ তেলে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। তারপর মরিচের গুঁড়ো, লবণ, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো ও ধনিয়া গুঁড়ো দিয়ে দিন।
৬) এতে সামান্য পানি যোগ করে মসলাগুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিন। একটু সময় নিয়ে ও হালকা আঁচে কষাতে হবে, এতে যেকোনো মাসালা আইটেমের টেস্ট ভালো হয়।
৭) ভেজে রাখা আলু ও ঢেঁড়সগুলো এবার মসলার সাথে মিশিয়ে দিন। ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।
৮) মিনিট দশেক পর ঢাকনা খুলে দেখে নিন সবজিগুলো সেদ্ধ হয়েছে কি না! ঢেঁড়স রান্না হতে কিন্তু বেশি সময় লাগে না।
৯) সবজির সাথে মসলা মাখা মাখা হয়ে এলে কাঁচামরিচের ফালি ছড়িয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। ব্যস, মাসালা ঢেঁড়স তৈরি হয়ে গেলো।
তাহলে দেখলেন তো, অল্প উপকরণে দিয়েও মজাদার এবং হেলদি ডিশ রান্না করা যায়। এবার গরম গরম ভাতের সাথে ঝাল ঝাল মাসালা ঢেঁড়স সার্ভ করে দিন।