কাজল সিনহা
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন এনামুল হকের কোম্পানি থেকে গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে দীপক অধিকারী অর্থাৎ দেবের অ্যাকাউন্টে। এরপর দেব সাংবাদিকদের নিজেই জানান, শুভেন্দু অধিকারী যে নথি পোস্ট করেছেন তা ইডি-সিবিআই-এর কাছে ছিল। সঙ্গে এ প্রশ্নও করেন, একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিক কীভাবে তা জনসমক্ষে তুলে ধরলেন তা নিয়েও। সঙ্গে এ খবরও মিলছে, এই নিয়ে তিনি নাকি বিজেপি নেতাকে হোয়াটস অ্যাপও করেছিলেন। এই বিষয়টি জানতে পেরই তৃণমূলের তারকা প্রচারক কুণাল ঘোষের প্রথম প্রতিক্রিয়া, ‘দেব সৌজন্যের রাজনীতিতে দেবাদিদেব।’ প্রসঙ্গত, বিরোধীদের আক্রমণের মুখে নিজেকে স্থিতধী রাখার ঘটনায় আগে দেবকে ‘চৈতন্যদেব’বলেও উল্লেখ করেছিলেন কুণাল। এবার বললেন ‘দেবাদিদেব’।
এ প্রসঙ্গে বলতেই হয়, বঙ্গ রাজনীতিতে দেব যে সৌজন্যের রাজনীতি করেন এটা নতুন নয়। একাধিকবার বিরোধী দলের প্রার্থী তাঁকে আক্রমণ শানলেও তিনি হয় উত্তর দেননি নয়তো হেসে বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। সাম্প্রতিক রাজনীতিতে এমন উদাহরণের তালিকা দীর্ঘ। কখন দেখা গিয়েছে তাঁর উদ্দেশ্য়ে যে বিজেপি কর্মী ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়েছেন, তাঁকে জড়িয়ে ধরেছেন, কখনও আবার বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে গদ্দার বলায় বিপক্ষে গিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীরও। এই নিয়ে কুণালের কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি তাঁকে।
তবে বৃহস্পতিবার শুভেন্দুকে মেসেজ করায় দেবকে খোঁচা মারতে দেখা গেল কুণালকে। কুণাল বলেন, ‘দেব সৌজন্যের রাজনীতি করেন। ওনাকে কেউ আপত্তিকর মন্তব্য করলেও দেবের নীতি হল মেরেছ কলসীর কানা তাই বলে কি প্রেম দেব না? শুনলাম শুভেন্দুকেও হোয়াটস অ্যাপ করেছেন। কারোর মনে হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী আক্রমণ করার পরও ওনাকে হোয়াটস অ্যাপ করা যায়, ওদের মধ্যে যদি সেই সম্পর্ক থাকে।’ এখানেই শেষ নয়, কুণাল কটাক্ষ করে এও বলেন, ‘সকলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ওর। প্রেম বিলিয়ে বেড়ায়।’