অলোকেশ ভট্টাচার্য
শিলিগুড়ি সেবক রোডে অবস্থিত সেবক হাউসের চাবি রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তুলে দিল পুলিশ। গেট খুলিয়ে বৃহস্পতিবার ভিতরে প্রবেশও করানো হয় মিশনের লোকজনকে। আপাতত সেবক হাউসে পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। সেবকের রামকৃষ্ণ মিশন দখলের ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি শহরের সেবক রোডের শালুগাড়ার অবস্থিত সেবক হাউস রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষকে দান করেছিলেন এক ভক্ত। মূল রাস্তার ওপর প্রায় আড়াই তিন একর জমির ওপর অবস্থিত ওই বাড়িতে বসবাস করেন রামকৃষ্ণ মিশনের কিছু আবাসিক। অভিযোগ, গত রবিবার ভোরে আশ্রমের ওই সম্পত্তি দখল করতে ৩০-৪০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়ে এক জমি মাফিয়া। নিরাপত্তারক্ষী এবং সেখানে বসবাসকারী আবাসিকদের খুনের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার পাশাপাশি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী বেধড়ক মারধর করে রামকৃষ্ণ মিশনের সাধুদের শহরের বাইরে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে স্বামী শিবপ্রেমানন্দ জানান, ‘আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে, আমাদের যা জিনিস ছিল, তা মিলিয়ে দেখব, তারপরেই বাকি যা বলার বলব।‘
এদিকে রামকৃষ্ণ মিশনের মতো কয়েকটি সেবামূলক সংগঠন সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। আর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রচারেও নেমে পড়েছে বিজেপি। এমনকী রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও দেখা গেছে এই ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে। শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদিই নন, রাজ্যে এসে এই বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য সম্প্রতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের বিরোধী নন।