শুভদ্য়ুতি ঘোষ
শনিবারই সাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল । রবিবার আছড়ে পড়তে পারে বাংলার উপকূলে, বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানাল আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় গুলো যেমন একাধিকবার ধ্বংসলীলা চালিয়েছে বাংলায়, ঠিক তেমনই এবারও তেমন লণ্ডভণ্ড করতে বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরের উপর যে ঘূর্ণাবর্ত ছিল, তা শক্তি বৃদ্ধি করে ইতিমধ্যেই নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। পরবর্তীতে শক্তি বাড়িয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। ঘণ্টায় ১০০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এরই পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকালে এটি গভীর নিম্নচাপে ঘনীভূত হতে পারে।উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে হতে শনিবার সকালে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলেই জানিয়েছে অফিস। উত্তর-পূর্ব থেকে উত্তরমুখী হয়ে এগোবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। রবিবার তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে রেমাল। রবিবার বিকালে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি আছড়ে পড়তে পারে রেমাল। গতিবেগ থাকবে প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শুক্রবার এবং শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার রাত থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। রবিবার ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। সোমবারে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে সারা দক্ষিণবঙ্গ। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনা এই দুই জেলাতে। যদিও উত্তরবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব থাকবে না। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে ওড়িশার উত্তরের জেলাগুলিতে।