অকারণে ভয় পাওয়ার কারণ নেই ডিমের কুসুমে

ডিমের কুসুম খেতে কে না পছন্দ করেন। সমস্যা হল, আম বাঙালির এহেন কুসুম প্রীতিকে একবারে ভালো চোখে দেখেন না সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের কথায়, কুসুম অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি খাবার। তাই কোনও মতেই রোজ রোজ এই কুসুম খাওয়া মোটেই উচিত না। এদিকে স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞদের মুখে এই কথা শুনেই কুসুম অন্তপ্রাণ মানুষগুলোর মনে প্রশ্ন জাগে যে, তাহলে সত্যিই কি ডিমের কুসুম খাওয়া ক্ষতিকর? কুসুম খেলে কি স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? তবে চিকিৎসকরা  এ ব্যাপারে একেবারে উল্টো একটা মতই পোষণ করছেন। কুসুম খাওয়া উচিত কী উচিত নয় বা খেলেও ঠিক কতটা খাওয়া উচিত সে ব্যাপারে ডাঃ তমাল বিশ্বাস জানাচ্ছেন,

কুসুমে বেশ কিছুটা পরিমাণে কোলেস্টেরল রয়েছে। আরও নির্দিষ্টভাবে বললে একটা গোটা বড় সাইজের ডিমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। আর এই বিষয়টা মাথায় রেখেই অনেকে ডিমের কুসুম স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয় বলেই বলে থাকেন। তবে সত্যি বলতে, প্রতিদিন একটা কুসুম খেলে কিন্তু কোনও সমস্যা হওয়ার কথাই নয়। উল্টে কুসুম খেলে তার থেকে একাধিক শারীরিক উপকারই মেলার কথা। তাই অহেতুক কুসুমের থেকে দূরত্ব বাড়ানোর কোনও কারণ নেই।

শুধু তাই নয়, ডিমের কুসুম হল ভিটামিনের খনি। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে, বি১৩ এবং রাইবোফ্লাভিন। শুধু তাই নয়, ডিমের কুসুমে খোঁজ মেলে কোলিনের। আর এই উপাদান ব্রেন এবং নার্ভের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত জিয়াজ্যানথিন এবং লিউটিন নামক দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই এতসব উপকার পেতে চাইলে নিয়মিত ডিমের কুসুম খাওয়া উচিত।

আর যে কোনও সুস্থ-সবল ব্যক্তি দিনে একটা গোটা ডিম খেতে পারেন। এমনকী রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা সামান্য বেশি থাকলেও প্রতিদিন একটা গোটা ডিম খাওয়া-ই যায়।

তবে যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁরা কিন্তু রোজ গোটা ডিম খাবেন না। সেখানে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন কুসুম শুদ্ধ গোটা ডিম খাওয়া যেতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 14 =