কাজল সিনহা
কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া নেওয়া গেস্ট হাউজে পুলিশি অভিযান ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে তৈরি হয়েছিল জোর বিতর্ক। এই ঘটনায় হাইকোর্টে কড়াও নাড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মামলায় শুক্রবার পুলিশি তদন্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালত সূত্রে খবর, কোলাঘাট থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত। শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিনহা এও জানান, এই সময়ের মধ্যে জরুরি কোনও নির্দেশের প্রয়োজন হলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে পুলিশ।
শুক্রবার আদালতে এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, গত ২০ মে কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কোলাঘাটে ওই অফিস তথা অস্থায়ী বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল বলে দাবি শুভেন্দুর আইনজীবীর। তিনি আরও জানান, অভিযোগ করা হয়েছিল ওই অফিসে বোমা, অস্ত্র ও নগদ টাকা মজুত রাখা হয়েছিল। যদিও এমন কিছুই সেখান থেকে পাওয়া যায়নি বলে দাবি শুভেন্দুর।
অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আইনজীবী সম্রাট সেন সওয়াল করেন, এই মামলার ক্ষেত্রে শুভেন্দু অভিযুক্ত বা সাক্ষী নন। পাশাপাশি যে বাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল, সেটা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি নয়। সেটি সুরজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তির সম্পত্তি বলে দাবি রাজ্যের আইনজীবীর। পাশাপাশি রাজ্যের আইনজীবী এ প্রশ্নও তোলেন, যদি কোনও অভিযোগ আসে, তাহলে কি সেটা খতিয়ে দেখবে না পুলিশ? রাজ্যের তরফে আরও দাবি করা হয়, পুলিশকে কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি ঘর তালাবন্ধ ছিল। ফলে পুলিশ ঢুকতে না পেরে ফিরে এসেছে বলেই দাবি রাজ্যের।
সে কথা শুনে বিচারপতি সিনহা পর্যবেক্ষণ, অভিযোগ পেয়েই কি পুলিশ চলে গেল? অনুসন্ধান করবে না? কটি ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযোগ পেয়েই চলে যায়? প্রশ্ন তোলেন তিনি। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি ওই মামলার পুলিশি তদন্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন।