নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কালো টাকা সাদা করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র অর্থাৎ কালীঘাটের কাকু। কোম্পানির শেয়ারদর বাড়িয়ে বাজার থেকে তোলা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। কোনও আর্থিক হিসাব না দিয়েই এই কোম্পানির শেয়ার দর ৪৪০ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। পরে সেই দরেই শেয়ার কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ‘ওয়েলথ উইজার্ড’ নামে একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থাটি বেশিদিনের পুরনো নয়। ওই সংস্থাটির শেয়ারদর ছিল বাজারে ১০ টাকা। এদিকে এই সংস্থার বাজারদর দেখানো হয়েছে ৪৪০ টাকা। এরই সূত্র ধরে, তাঁর নিজের সংস্থা ও অন্য ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে ওই দরে ১০ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই তথ্য এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। ইডি-র বক্তব্য, এর মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবেই কালো টাকা সাদা করেছেন সুজয়কৃষ্ণ।
এরই পাশাপাশি ইডি-র কাছে তথ্য এসেছে, নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নিজের পকেটে ১১ কোটি টাকা ঢুকিয়েছেন। সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে, অন্য সংস্থার মাধ্যমে সাদা করেছেন। তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে, এরকম আরও অনেক সংস্থা থাকতে পারে, সেগুলির খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘জামির সানশাইন, সেনেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘সিম্বায়োসিস মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর নাম সামনে এসেছে। এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করতেন পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। ইডি-র হাতে সে তথ্যও এসেছে। সেল কোম্পানিকে হাতিয়ার করেই দুর্নীতির কাল টাকা সাদা করা হত।