শট ওয়ানঃ
ভোটের দিন একবারে অন্য মেজাজে অভিনেতা সাংসদ দেব। মাথায় হেলমেট, পরনে সাদা নীল ছাপ শার্ট, জিনস। চেপে বসলেন দলীয় কর্মীদের বাইকে। এদিন সকাল থেকে দলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এভাবেই বাইকে চড়ে বুথে বুথে ঘুরলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী। এদিকে সকালেই ঘাটালের নানা প্রান্তে দেখা যায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে হাজিরও হতে দেখা গেছে তাঁকে। শুরুতেই ঘাটালের দৌলতচক ৭১ নম্বর বুথ সহ- ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এদিন সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হতেই দৌলতচকে তৃণমূলের বুথ এজেন্টকে বুথে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে দৌলতচকে আসেন দেব। এরপর সকলকে নির্ভয়ে ভোট দেওয়ারও আবেদন করেন। সঙ্গে এও বলেন, ‘দশ বছর ধরে সবাইকে আগলে রেখেছি। কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে। আমি শুনেই গিয়েছি। কিন্তু চাই সবাই ভোটটা দিক। আমি সবাইকে বলছি আপনারা ভোট দিন। কেউ আটকালে ভয় পাবেন না। আপনারা আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোটটা দিন। আমাকেই ভোট দিন বলছি না। যাকে ভাল লাগে তাঁকে ভোট দিন।’
কাট।
শট টুঃ
পরনে সাদা চুড়িদার। সাদা ওড়না। সকাল থেকেই মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়াকে। এরই মধ্যে একটি বুথের গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন জুন। বললেন, তাঁর সঙ্গে নাকি অভব্য আচরণ করেছেন বিজেপির বুথ সভাপতি। সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুরের তলকুয়ের। জানা যাচ্ছে জুন মালিয়া যখন বুথের ভিতরে যান বিজেপির পোলিং এজেন্ট তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ। গোটা বিষয়টি তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। এদিকে জুন এই প্রসঙ্গে এও জানান, ‘আমি অভিযোগ জানিয়েছি। এখানকার বিধায়ক দীনেনবাবু তাঁকেও বলেছি।’ পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, প্রিসাইডিং অফিসারের উপস্থিতিতেই এই ঝামেলা হয়েছে।
কাট।
শট-থ্রিঃ
সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল কেশপুর। হিরণের বিরুদ্ধে বাড়ছে বিক্ষোভ। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যার জেরে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন হিরণ।
কাট।
শট ফোরঃ
একদিকে কেশপুরে যখন বিক্ষোভের মুখ বিজেপি প্রার্থী হিরণ ঠিক তখনই আর এক বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে দেখা গেল ‘দাবাং’মেজাজে। কার্যত আঙুল উঁচিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও অগ্নিমিত্রা প্রশ্ন করেন, ‘রাজ্য পুলিশকে কেন ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন?’ এই প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা এও জানান, ‘দরজার পাশে দাঁড়িয়ে বেঙ্গল পুলিশ ভোট করাচ্ছে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দেখছেন। প্রিসাইডিং অফিসার দেখছেন। আর আমার পোলিং এজেন্টকে বের করিয়ে তৃণমূল উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন তাঁকে আবার ভিতরে বসিয়ে দিয়ে এলাম। ও ভয়ে কাঁদছে।’
কাট।
শট ফাইভঃ
লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজ্ৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সকাল থেকেই বুথে বুথে ঘুরছেন। তবে সকাল থেকেই যত্রতত্র বিক্ষোভ চলেছে তাঁকে ঘিরে। এই বিক্ষোভ, আক্রমণ, পালটা আক্রমণের মধ্যেই ‘হাড়গোড়’ নিয়ে প্রাক্তন বিচারপতির বাক্য নিক্ষেপ নিয়ে চর্চা শুরু রাজনৈতিক মহলে।কারণ, শনিবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হলদিয়ার বুথে দাঁড়িয়ে ‘হাড়গোড় ভাঙা’-র ‘হুঁশিয়ারি’ দিলেন। তাঁর কণ্ঠে এই ধরনের কথা শুনে হতবাক তৃণমূল নেতারা। পালটা সুর চড়িয়েছেন তাঁরাও।
কাট।