ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে তুমুল সতর্কতা। এখনও পর্যন্ত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে, এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে। একইসঙ্গে নবান্নর পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ে রাতভর কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে নবান্নে। সারারাত ব্যাপী পরিস্থিতির উপর নজরদারি করবে নবান্ন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর, কাকদ্বীপ,নামখানা, গোসাবা,থেকে বেশিরভাগ বাসিন্দাকে সরানো হয়েছে।
রাত ৯ টা পর্যন্ত রাজ্যের ৯ জেলায় ১৪ টি এনডিআরএফ-এর দল প্রস্তুত রাখা হয়।পাশাপাশি প্রয়োজন হলে আরও এনডিআরএফ টিম স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়। নবান্ন থেকে প্রতিনিয়ত প্রস্তুতির উপর রাখা হয় নজর। কলকাতায় দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে ১টা টিম এনআরডিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি হুগলিতে ১, হাওড়াতে ১,দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ৩,উত্তর ২৪ পরগনাতে ২টি,পূর্ব মেদিনীপুরে ২ টি,পশ্চিম মেদিনীপুরে ২টি,মুর্শিদাবাদে ১টি,নদিয়াতে ১টি টিম রাখা হয় রাজ্যের দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে। পাশাপাশি বায়ুসেনার সঙ্গেও কথা বলেছে নবান্ন। এয়ার লিফটিং-এর প্রয়োজন হলে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে তাদের। ব্যারাকপুর ও কলাইকুন্দাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী অঞ্চলে এয়ার লিফটিং এর প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছে নবান্ন। এদিকে সূত্রে খবর, সোমবার সকালে নবান্ন যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এরইমাঝে কেন্দ্রের তরফেও রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গেও পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলে দফায় দফায়।